যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মীর গ্রেপ্তারির দাবিতে উত্তাল আমেরিকা (ভিডিও)

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা। তাও আবার পুলিশি হেফাজতে। কাঠগড়ায় এক শেতাঙ্গ পুলিশকর্মী। স্বভাবতই এই ঘটনায় আমেরিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আমজনতা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল সে দেশের মিনেসোটার মিনেপলিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। তাঁদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে উন্মত্ত জনতা। এদিকে শেষপর্যন্ত মৃতের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


জানা গিয়েছে, ধৃত কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখেছিলেন এক পুলিশকর্মী। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট থাকেন ছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি। গলায় হাঁটুর চাপে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এই ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই প্রতিবাদ শুরু হয়। অবশেষে ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। জর্জ ফ্লয়েড নামের এক আফ্রিকান-আমেরিকানকে আটক করার সময় তাঁর গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেন ডেরেক চাউভিন নামের এক পুলিশকর্মী। সোমবার ঘটে এই ঘটনা। জর্জের মৃত্যুর পর চাউভিন ছাড়া আরও তিন পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

সৌজন্যে বিবিসি নিউজ


এদিক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর পর প্রতিবাদ শুরু হয় মিনেপলিস জুড়ে। অভিযোগ ওঠে, এই এলাকার কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশ বরাবর অমানবিক আচরণ করে। বিক্ষোভকারীরা কয়েকশো দোকান ভাঙচুর করে। একটি পুলিশ স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেয়। যা দেখে বিক্ষোভকারীদের ‘ঠগ’ বলে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প।

টুইইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, লুঠপাট শুরু হলেই গুলি চলবে। এর প্রতিবাদে তাঁর মন্তব্য হাইড করে টুইটার। এ নিয়ে একপ্রস্থ টানাপোড়েন চলে। শেষমেশ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে শোকপ্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে তাতে ক্ষোভের ক্ষতয় কতটা প্রলেপ লাগবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। চাউভিনের গ্রেপ্তারির পর অবশ্য বিক্ষোভ থেমেছে।

SHARE THIS ARTICLE