যেভাবে জাকাতের হিসাব করতে হয়

জাকাত ওয়াজিব হয় বর্ধনশীল সম্পদের ওপর যা ৪ ধরনের হয়

১. সোনা

২ রুপা

৩. ব্যবসায়িক পণ্য

৪. নগদ অর্থ

কেউ যদি এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পত্তি অর্থাৎ ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি সোনা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রুপার মালিক থাকে অথবা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি সোনার মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ তার কাছে থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে সম্পদশালী ব্যক্তি গণ্য হবে এবং তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। নগদ অর্থ, সোনা/ রুপা বা ব্যবসার সম্পদ যেদিন নেসাব পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেদিন থেকেই জাকাতের বর্ষগণনা শুরু হবে। জাকাতের বর্ষ পূর্ণ হওয়ার দিনে ওই ব্যক্তির মালিকানায় যে পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ অর্থাৎ নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের সম্পদ, সোনা বা রুপা থাকবে, তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত হিসেবে দান করে দিতে হবে।

কেউ এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক থাকলে নিজের মালিকানাধীন সমুদয় বর্ধনশীল সম্পদের জাকাত দিতে হবে; শুধু যে সম্পদ এক বছর ধরে তার কাছে রয়েছে ওই সম্পদের নয়। সে বছরের শেষে বা মাঝামাঝি সময়ে কিছু অর্থ বা সোনা লাভ করে থাকলে তাও জাকাতের হিসেবে যুক্ত হবে।

ঘরের আসবাবপত্রের ওপর জাকাত ওয়াজিব হয় না। স্থাবর সম্পত্তি যেমন জমি, বাড়ি ইত্যাদির ওপরও জাকাত ওয়াজিব হয় না যদি সেগুলো ব্যবসার পণ্য না হয়। একইভাবে যে গাড়ি বা বাড়িভাড়া দেওয়া হয়, ওই গাড়ি বা বাড়িরও জাকাত দিতে হয় না। যেহেতু সেগুলো অর্থ আয়ের মাধ্যম হলেও ব্যবসার পণ্য নয়।

SHARE THIS ARTICLE