যেভাবে রাখবেন আশুরার রোজা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা আরবি হিজরি সনের যে চারটি মাসকে সম্মানিত করেছেন। তার মধ্যে মহররম মাস হলো অন্যতম। বাকি মাসগুলো হলো- জিলকদ, জিলহজ ও সফর।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘যেদিন থেকে তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে গণনা হিসেবের মাস হলো বারোটি। এর মধ্যে চারটি মাস বিশেষ সম্মানিত’। (সূরা: তাওবাহ, আয়াত: ৩৬)

রমজান মাসের রোজার পর অন্যান্য নফল রোজার মধ্যে সব থেকে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ রোজা হলো মহররম মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ আশুরার দিনের রোজা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।

আশুরার রোজা ফজিলত ও গুরুত্ব

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি’। (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

আশুরার রোজার ফজিলতের ব্যাপারে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ’। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮)

আশুরার রোজা পালনে যেমন অফুরন্ত সওয়াব অর্জিত হয়, তেমনি এদিন রোজা রাখলে গুনাহও মাফ হয়। আলী (রা.)-কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন আল্লাহর রাসূল (সা.) এর কাছে জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন’। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)

যেভাবে রাখবেন আশুরার রোজা

আশুরার রোজা মূলত ১০ মহররমের রোজা। তবে এই রোজার সঙ্গে আরো একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মহররমের ৯ ও ১০ কিংবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ’। (সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ২০৯৫) 

অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিও’।

SHARE THIS ARTICLE