আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বেশ কতগুলো কারণে নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনে বিপুলভাবে দ্বিতীয় দফায় বিজয়ী হয়েছেন জাসিন্ডা আরডার্নের দল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিতে অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্ব এবং তুখোড় বিপর্যয় মোকাবিলা করার দক্ষতার কারণেই এ বিজয় সম্ভব হয়েছে। এ কারণে শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন জাসিন্ডা। পর্যবেক্ষকদের অভিমত, অতিমারী করোনা রুখতে অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন করেন জাসিন্ডা। গত জুন মাসের ৯ তারিখ নিউজিল্যান্ড নিজেদের করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। কারণ ২৯ মের পর থেকে সে দেশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। বিশেষ করে নির্বাচনে জাসিন্ডার বিপুল জয়ের নেপথ্যে করোনাকালে পরিকল্পিত ‘কাজকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তিনি বাস্তবসম্মতভাবে করোনারোধী চার দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। চারটি পর্যায়ের একটি ছিল স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থা। হিসেবে দেখা গেছে, ২০ মার্চের কাছাকাছি জাসিন্ডার সরকার তিন-চার দিনের মধ্যে চার নম্বর স্তর শেষ করে ফেলেছিল। জাসিন্ডা নিউজিল্যান্ডে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আগেভাগেই করেছিলেন। তিনি জেনেছিলেন, অধিকাংশ সংক্রমণই হয়েছিল বিদেশ থেকে আসা পড়ুয়া এবং ইরান ও চীন থেকে ফেরা মানুষের মাধ্যমে। তিনি প্রথমেই এদিক গুরুত্ব দিয়ে করোনাকে রুখে দিয়েছিলেন। জাসিন্ডার পরিকল্পিত এই কর্মউদ্যোগের বিষয়টি নজর কাড়ে গোটা বিশ্বেরই। পর্যবেক্ষকদের মতে, কীভাবে দেশের নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে হবে, এটা জাসিন্ডা তার কর্ম দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। এসব কারণেই মানুষ প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডর্নকে খুবই ভরসা করেন। তাই মানুষ সরকারি সতর্কতা ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন, প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং সরকার যা করছে, তার ওপর অগাধ আস্থা রেখেছেন এবং ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছেন।