রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ জনতার ১১ বাসে আগুন

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় নিহত হলেন আরও একজন শিক্ষার্থী। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হন মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নামের এই শিক্ষার্থী। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা । অন্তত ১১টি বাসে আগুন দিয়েছে এলাকাবাসী।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই ছাত্রের সঙ্গে বাস ভাড়া নিয়ে অনাবিল বাসের হেলপার তর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তায় পড়ে যায় । এরপর চলন্ত বাস, তার মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

রামপুরায় বাসচাপায় ছাত্রের মৃত্যু, বাসে আগুন

এতে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনসহ ১১টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। নিহত মাঈনুদ্দিন রামপুরা একরামুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় থেকে চায়ের দোকান চালান মাঈনুদ্দিনের বাবা। স্থানীয়রা জানান, অনাবিল বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

ভাঙচুর করা ও আগুন দেওয়া বাসের বেশিরভাই অনাবিল পরিবহনের। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগন দিচ্ছেন। ঘাতক চালককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। ডিসি মতিঝিল আহাদ বলেন, গাড়ি ও গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে পুলিশ এই গাড়ি ও চালককে আটক করেছে।

 ছাত্রের মৃত্যু, বাসে আগুন

রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রামপুরা বাজারের কাছে বাসচাপায় একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

 বাসে আগুন

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের অপারেটর জিয়াউর রহমান বলেন, বাসচাপায় ছাত্র নিহতের এ ঘটনায় অন্তত ১০/১১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এদিকে নিহত মাহিনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনের বন্ধু মাহিন ইসলাম জানান, মাইনুদ্দিন একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। সোমবার রাতে পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডের বাসায় যাওয়ার পথে দুই বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাইনুদ্দিনের বাবা রামপুরায় একটি চায়ের দোকান চালান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন সবার ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

SHARE THIS ARTICLE