আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ রমজানের ২৭তম রাতে পবিত্র মসজিদুল আকসা প্রাঙ্গণে নামাজ পড়েছেন আড়াই লাখের বেশি মুসল্লি। গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) মহিমান্বিত এ রাতে দুই লাখ ৮০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মুসল্লি এশা ও তারাবির নামাজে অংশ নেন। ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জেরুজালেমের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অব ওয়াকফ কাউন্সিল জানায়, শবেদকদরে ইসরায়েলি সেনাদের তীব্র বাধা উপেক্ষা করে সজিদুল আকসা প্রাঙ্গণে আসেন ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম নগরীর মুসল্লিরা। এসব এলাকার মুসল্লিদের ওপর মসজিদে প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
মসজিদুল আকসার খতিব শায়খ আজ্জাম আল-খতিব বলেন, রমজান মাসের ২৭তম রাতে মসজিদুল আকসায় অসংখ্য মুসল্লি উপস্থিত হয়েছেন। মসজিদ প্রাঙ্গণে তিল ধারণেরও জায়গা ছিল না। অনেক মুসল্লি সিড়িতে দাঁড়িয়েই নামাজ পড়তে বাধ্য হন। অনেক নারী মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে তাদের জন্যও নামাজের পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না।
এ সময় মসজিদে আগত মুসল্লিদের শৃঙ্খলা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন জেরুজালেমের ওয়াকফ কাউন্সিলের কর্মী ও স্বেচ্ছ্বাসেবক দল। মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে ইফতার হিসেবে খেজুর ও পানীয় বিতরণ করে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠন।
এদিকে গতকাল পশ্চিম তীরের হেবরন নগরীর ইবরাহিম মসজিদে অন্তত পাঁচ হাজার মুসল্লি উপস্থিত হন। ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর প্রহরার মধ্যে তারা মসজিদে এসে তারাবি ও তাহাজ্জুদের নামাজে অংশ নেন।
মসজিদুল আকসায় পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। নির্দেশনা অনুসারে ৫৫ বছরের কম বয়সী পুরুষদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তা ছাড়া সব বয়সের নারী, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ, ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেদের জেরুজালেমে প্রবেশে অনুমোদন দেওয়া হয়।