লিভ টু আপিল খারিজ, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (৮ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কল কারখানা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

পরে ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য ৮ মে দিন ধার্য করা হয়।

গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। সেই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।

SHARE THIS ARTICLE