সাবরিনা মুখোমুখি আরিফের। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ করোনা রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। তবে জেকেজির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বরাবরই এড়িয়ে যাচ্ছেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। নিজের রেখে দেওয়া প্রমাণ সামনে আনলেও তা আনঅফিশিয়াল বলে দাবি করছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে পুনরায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান আরিফের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অতীতে তাদের ভয়ে মুখ না খুললেও এখন তাদের পরিচিতজনরাই নাম না প্রকাশের শর্তে নানা বিষয়ে মুখ খুলছেন। কীভাবে তারা বাগিয়ে নিয়েছেন বড় বড় কাজ, কীভাবে অফিস কিংবা সর্বত্র ক্ষমতার দাপট দেখাতেন এমন অনেক তথ্য। জেকেজির লাইসেন্স না থাকার পরও বাগিয়ে নেন করোনা পরীক্ষার কাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের অজানা অনেক কাহিনী।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও বলেছেন, ডা. সাবরিনা জেকেজিকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করলেও টাকা আত্মসাৎ বা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা স্বীকার করেননি। যার কারণে আরিফ ও সাবরিনাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । আরিফের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় এবার তাদের দুজনকে টাকার ভাগবাটোয়ারার বিষয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসা করার জন্য বুধবার রাতে আরিফকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়-যেখানে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।

মুখোমুখি বসানো হবে সাবরিনা-আরিফুলকে ...

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিমান্ডে থাকা ডা. সাবরিনা চৌধুরী জেকেজি হেলথ কেয়ারকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন। দপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তিনি সুবিধাগুলো হাতিয়ে নিতেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিক্যাল সাপোর্টও দিতেন তিনি। মাঠ কর্মীদের স্বল্প পরিসরে প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল প্রশিক্ষণসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করলেও হাতিয়ে নেওয়া অর্থের ব্যাপারে তিনি কোনো তথ্য দেননি। রিমান্ডে তিনি দাবি করেছেন, আরিফ তাকে অর্থিক কোনো সুবিধা দেয়নি। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বামী আরিফ চৌধুরী ও স্ত্রী ডা. সাবরিনাকে মুখোমুখি করা হতে পারে। তাহলেই আত্মসাৎকৃত বিপুল অর্থের সন্ধান পাওয়া যাবে।  

প্রিয় | ইন্টারনেট লাইফ

উল্লেখ্য, প্রতারণা ও করোনা রিপোর্ট জাল-জালিয়াতির অভিযোগে গত রবিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে ডাকা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জেকেজির রিপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ফ্রিজ করে দেওয়া হয় তার ব্যাংক হিসাব। পরদিন সোমবার আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে একই মামলায় গ্রেপ্তার হন সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী। 

SHARE THIS ARTICLE