আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। পরিবারের সদস্যরাসহ আসাদ মস্কোয় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের রাজধানী দামেস্ক দখলের মুখে রোববার সকালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ ছাড়েন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের আক্রমণে সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার পরিবারের সদস্যরা মস্কোয় পৌঁছেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে রাশিয়া তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এখন বাশারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে। দামেস্ক শহরের একটি মসজিদে দেওয়া ভাষণে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রধান নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, ‘এই বিজয় সিরিয়ার সব মানুষের।’
এর আগে এক বিবৃতিতে জোলানি বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী দায়িত্বে থাকবেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি।
এর আগে টানা ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পর বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার খবরে উল্লাসে ফেটে পড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে ‘প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে’ ঢুকে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছেন জনতা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দামেস্কের রাজপথে উল্লাসে মেতে ওঠে সিরিয়াবাসী। এর মধ্যেই দলে দলে মানুষ আসাদের ‘প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে’ ঢুকে প্রায় সবই লুট করে নিয়ে গেছে। তছনছ করে দিয়েছে গোটা ভবন।
লুটপাট চালানো এই মানুষদের বেশির ভাগই এসেছে গ্রামাঞ্চল থেকে। প্রাসাদের ভেতরের পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল। মানুষজন ভেতরে যাচ্ছে। হাতে করে যে যা পাচ্ছে, তাই-ই নিয়ে যাচ্ছে। আবার জিনিস নিয়ে যাওয়ার সময় ছবিও তুলছে।
সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা যখন রাজধানী দামেস্কে ঢুকছিল, ঠিক তখন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ থেকে পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ার ক্ষমতায় টানা ২৪ বছর ছিলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে আসাদ পরিবারের দীর্ঘ শাসনের অবসান হয়েছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের আগে আলেপ্পো, হামা ও হোমস নগরীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বিদ্রোহীরা। আসাদের পতনের জেরে রোববার খুশিতে রাস্তায় নেমে আসে সিরীয়রা। সেনাবাহিনীর ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাস করেন সাধারণ মানুষ। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে উল্লাসে মাতেন জনতা।