আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ মঙ্গলবার ইরানের বার্ষিক সেনা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পুনরায় হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তবে তিনি তার বক্তৃতায় সৌদি আরবের সমালোচনা করা থেকে বিরত ছিলেন, কারণ সৌদি আরবের সাথে বৈরিতার অবসান চায় তেহরান।
ইব্রাহিম রাইসি যখন ওই হুমকি দিচ্ছিলেন, সে সময় ইরানের যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলি তেহরানের আকাশে মহড়া দিচ্ছিল এবং ইরানি সাবমেরিনগুলি সমুদ্রের বুক চিঁড়ে উপরে উঠে আসছিল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই সব দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
ইরানের আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ড যারা বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে কাজ করে এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইরান-মিত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করে, তারা ছাড়া দেশটির নিয়মিত সামরিক বাহিনী দিবসটি উদযাপন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাথে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায়, রাইসি ইসরাইলকে হুমকি দেন। বিশ্বশক্তির সাথে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে, ইরানকে লক্ষ্যবস্তু করে ইসরাইল একের পর এক হামলা চালিয়েছে বলে তেহরান সন্দেহ করছে।
রাইসি বলেন, “শত্রুরা, বিশেষ করে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী এই বার্তা পেয়েছে যে (আমাদের) দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ক্ষুদ্র পদক্ষেপও যদি নেয়া হয়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর তার কঠোর জবাব দেবে, এমনকি বন্দর নগরী হাইফা কিংবা তেল আবিব ধ্বংস করতেও তারা দ্বিধা বোধ করবে না।”
সুনির্দিষ্টভাবে সৌদি আরবের নাম উচ্চারণ না করলেও, রাইসি তার মন্তব্যে শান্তির প্রস্তাব করেন।
সাত বছরের উত্তেজনার পর গত মার্চ মাসে, ইরান ও সৌদি আরব চীনে একটি কূটনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছেছে । ওই চুক্তির মাধ্যমে, কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পুনরায় দূতাবাস স্থাপন করতে সম্মত হয় দুই দেশ। সেই সময় থেকে, সৌদি আরবও ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের সাথে বন্দী বিনিময়ে রাজি হয়। তারা আশা করছে, এই ধরনের চুক্তির ফলে ওই দেশের বছরের পর বছর ধরে দীর্ঘ প্রক্সি যুদ্ধের অবসান ঘটবে।