আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ স্ত্রীর নির্যাতনের কারণেই শ্বশুর বাড়ির বারান্দা থেকে ‘ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা’ সাবেক এমপি পুত্র ব্যারিস্টার আসিফ (৩৩)। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। শুক্রবার ভোরে কলাবাগান থানাধীন কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আসিফ সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ী এলাকার অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। শহিদুল ইসলাম ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি কামারখন্দ) আসনের এমপি ছিলেন। আসিফ ব্যারিস্টারি করার পর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করছিলেন।
পুলিশ বলছে, শুক্রবার ভোরে কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে শ্বশুরবাড়ির বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি ‘আত্মহত্যা’ বলে তার স্ত্রী-স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে এই মৃত্যুর জন্য আসিফের স্ত্রীকে দায়ী করছে তার পরিবার।
কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসিফের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে, আসিফ বাসায় বিয়ার পান করত। এই নিয়ে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য থেকে সে ভোরে ফজরের নামাজের সময় বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় তার স্ত্রী ড্রইং রুমে বসে ছিলেন।”
পরে আসিফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
তবে আসিফের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের এই বক্তব্য সত্য কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসিফের বাবা-মা প্রথমে বিয়ে মেনে না নিলেও পরে মেনে নেয়। তবে আসিফের স্ত্রী অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। আসিফ আত্মহত্যা করে থাকলে স্ত্রীর নির্যাতনের কারণেই করেছে বলে তার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
“আমরা দুই পক্ষের বক্তব্য নিয়েছি, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
১৫ দিন আগে আসিফ তার বাবার মিরপুরের বাসা থেকে শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আসিফের মৃত্যু নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে উপর থেকে পড়ে যাওয়ার পর শরীরে যে আলামত দেখা দেয় সেটা আসিফের শরীরে পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ভিসেরা পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”