আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ স্পেনের বিপক্ষে হারলে ১৯৩৮ ও ২০১৮ সালের দুঃস্মৃতি ফিরিয়ে আনার দশা হতো জার্মানির। গ্রুপপর্ব থেকে বাদের শঙ্কায় পড়ত। লুইস এনরিকের শিষ্যদের টিকিটাকার দুর্দান্ত ফুটবল রুখে দিয়ে আপাতত টিকে থাকল ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি। ১-১ গোলে সমতায় এক পয়েন্ট তুলে লড়াইয়ে থাকল হান্সি ফ্লিকের দল।
আল বাইত স্টেডিয়ামে জার্মানির বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রায় সব বিভাগে দাপট দেখিয়েছে স্পেন। আলভারো মোরাতার গোলে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে গেলে শেষ সময়ে নিকলাস ফুলক্রুগের গোলে সমতা টানে জার্মানি। নিজেদের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে নামবেন মুলার-মুসিয়ালারা।
স্প্যানিয়ার্ডদের রুখে দেয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডের পথ খুলেছে গ্রুপের বাকি সবার। ই গ্রুপের টেবিলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে স্পেন। সমান ম্যাচ খেলা জাপান ও কোস্টারিকার যথাক্রমে ৩ করে পয়েন্ট। একটি ম্যাচ হাতে থাকা জার্মানির সংগ্রহ ১ পয়েন্ট।
শেষ ম্যাচে কোস্টারিকাকে হারানোর পাশাপাশি জার্মানদের তাকিয়ে থাকতে হবে স্পেন-জাপানের ম্যাচেও। এনরিকের দলকে রুখে দিকে পারলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হবে এশিয়ার দেশটির। সেক্ষেত্রে তৃতীয়বারের মতো গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেবে জার্মানরা।
এদিন পুরোটা সময় ধুঁকেছে জার্মানি। বল দখলে যোজন পিছিয়ে থাকলেও গোলে ও গোলমুখে শট রাখার আধিপত্য দেখিয়েছেন মুসিয়ালা-মুলার-হাভার্টাজরা। ৩৫ শতাংশ বল দখলে আটটি শট নিয়ে লক্ষ্যে চারটি রাখে জার্মানি। বিপরীতে পাঁচটি শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল স্পেনের, বল জালে জড়িয়েছে একটিতে।
রোববার ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত স্পেন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি ওলমোর বুলেট গতির শট প্রথমে ম্যানুয়েল নয়্যারের হাতে লাগে, পরে ক্রসবারে বাধা পায়। ২৪ মিনিটে বুসকেটসের বাড়ানো বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন আলবা। চার মিনিট পর জার্মানরা আনে প্রথম সুযোগ।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে আরেকবার ব্যর্থ হয় স্পেন। ওলমোর পাস বক্সে দারুণ পজিশনে পেয়েও জাল খুঁজে পাননি, উড়িয়ে মেরে হতাশ করেছেন ফেররান তরেস।
প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় বল দখলে দাপট দেখানো স্পেন পিছিয়ে পড়তে পারত, অফসাইডের কল্যাণে অক্ষত থাকে স্কোরলাইন। ৪০ মিনিটে অ্যান্টোনিও রুডিগার হেডে বল জালে জড়িয়ে উৎসবে মাতেন। ভিএআরে দেখে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
গোলশূন্য বিরতির পর খেলার গতি বাড়িয়ে নেন লুইস এনরিকের শিষ্যরা। ৫৫ মিনিটে তরেসকে তুলে মোরাতাকে নামান কোচ। আট মিনিটের মাথায় তিনিই ব্যবধান গড়ে দেন। বদলি নামা মোরাতা আলবার পাস থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি। অবশ্য চার মিনিট আগে উনাই সিমনের ভুলে পিছিয়ে পড়তে যাচ্ছিল স্পেন।
বাকিটা সময়ে মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। ৮৩ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারে ফ্লিকের দল। বদলি নামা স্ট্রাইকার ফুলক্রুগ তরুণ ফরোয়ার্ড মুসিয়ালার পাস পেয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। বাকি সময়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও জালের দেখা পায়নি কোনো দল। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিজেদের উপর স্পেন চাপ বাড়ালেও এক পয়েন্ট তুলে এখনও কাতার বিশ্বকাপে টিকে থাকল জার্মানি।