আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ হেফাজত ইসলামের আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী মারা যাওয়ার পর মাদ্রাসাটি নতুন করে পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন মাদ্রাসার ৩ সদস্যের পরিচালক প্যানেল।
তারা হলেন মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা ইয়াহিয়া, আল্লামা শেখ আহমেদ ও মাওলানা মুফতি আব্দুস সালাম ।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় শুরা কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা শেখ আহমেদ।
একই বৈঠকে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক থেকে কয়েক মাস আগে বাদ পড়া আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে পরিচালক (শিক্ষা) হিসেবে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আল্লামা শফীর স্থলে পূর্ণাঙ্গ মহাপরিচালক নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত তিন আলেমের নেতৃত্বে থাকবেন আল্লামা ইয়াহিয়া।
মাদ্রাসায় ছাত্র আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের রুম ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা ওমর, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, মুফতি জসিম উদ্দিনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বৈঠকে।
এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন শূরার বৈঠকে আনাস ও নূরুল ইসলাম জাদীদের বহিষ্কার সহ যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাও বহাল রাখা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে হেফাজতের আমির আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরীর বিরোধ চলছিল।
এই দ্বন্দ্বের ফলে গত ১৭ জুন জুনায়েদ বাবুনগরীকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয় মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শেখ আহমেদকে।
তিনি হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পরে বাবুনগরীর ভাগিনা মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার শাহকে মাদ্রাসা থেকে এক মাস আগে বের করে দেয়া হয়। সবকিছু মিলিয়ে বাবুনগরীর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তাদের অভিযোগ, আহমদ শফী বয়স্ক হওয়ায় তাকে ভুল বুঝিয়ে তার ছেলে আনাস মাদানী এসব কাজ করিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার শূরা কমিটির বৈঠকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন আহমদ শফী। তার ছেলে আনাস মাদানীকেও শিক্ষা সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ঠিক একদিন পরই সেই পদে ফিরলেন আগে পদচ্যুত হওয়া বাবুনগরী।