আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ এশিয়া কাপে ভারেতর বিপক্ষে সেই ২০১২ সালে সবশেষ জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সময়ের পরিক্রমায় ভারতকে টাইগাররা হারালেও ১১ বছর ধরে এশিয়া কাপের মঞ্চে জয় যেন অধরাই ছিল। অবশেষে আজ কলম্বোতে সেই আক্ষেপ মোচন করল সাকিব আল হাসানের দল। প্রেমেদাসায় বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুভমন গিলের শতকে জয়ের ভীত গড়েছিল ভারত। কিন্তু শেষ টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ফলে ৬ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
ভারত ৪৯.৫ ওভারে ২৫৯/১০ (প্রসিদ্ধ ০*, শামি ৬, অক্ষর ৪২, শার্দুল ১১, গিল ১২১, জাদেজা ৭, সূর্যকুমার ২৬, ইশান ৫, রাহুল ১৯, তিলক ৫, রোহিত ০)
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৬৫/৮ (তানজিম সাকিব ১৪*, মেহেদী ২৯*, নাসুম ৪৪, হৃদয় ৫৪, লিটন দাস ০, তানজিদ ১৩, এনামুল ৪, মিরাজ ১৩, সাকিব ৮০, শামীম ১)
ম্যাচসেরা: সাকিব ৮০ (৮৫) ও ১/৪৩।
ফল: ৬ রানে জয়ী বাংলাদেশ।
ভারত ও বাংলাদেশ ক্রিকেট মাঠে নামলেই হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। জয়ের সুবাস পেতে গিয়েও শেষমেশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। তীরে গিয়ে ডোবে তরী। এবার আর তেমন কিছু হলো না। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে এবারের ফাইনালিস্ট ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শেষ করলো বাংলাদেশ। ১১ বছর পর এশিয়া কাপে প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে জিতলো তারা। এর আগে ২০১২ সালে শেষবার ভারতকে হারায় তারা।
শুবমান গিলকে ১২১ রানে বিদায় করার পর ভারত চাপ কাটিয়ে ওঠে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত আবারও বাংলাদেশকে হতাশায় ভাসাতে বসেছিল। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তার শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হেনে দারুণ অবস্থানে নেন বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল ভারতের। বাংলাদেশের লাগতো এক উইকেট। পুরো ম্যাচে দারুণ বোলিং করা তানজিম হাসান সাকিব শেষ ওভারে চমৎকার বোলিংয়ে সেই রান ডিফেন্ড করেন। প্রথম তিন বলে ডট দেন। চতুর্থ বলে চার মেরে মোহাম্মদ শামি উত্তেজনা ছড়ান। পঞ্চম বলে দুটি রান নিতে গিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের থ্রোতে লিটন দাস স্টাম্প ভেঙে দিলে তিনি রান আউট হন। ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। বাংলাদেশ জেতে ৬ রানে।
প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট নেওয়া তানজিম সাকিব ৭.৫ ওভার বল করে ৩২ রান দেন। সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুটি পান মেহেদী হাসান।
মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত
নিজের অষ্টম ও দলের ৪৯তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে শর্ট লেগে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে আশা জাগান মোস্তাফিজুর রহমান। একই ওভারে পঞ্চম বলে অক্ষর প্যাটেলকে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ বানান তিনি। ৪২ রানে আউট হন ভারতীয় ব্যাটার।
চার-ছক্কায় শেষ দুই ওভারে ভারত লক্ষ্য নামালো ১৭ রানে
জমে উঠেছে ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচ। শুবমান গিলকে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে অক্ষর প্যাটেল ও শার্দুল ঠাকুর সতর্ক ব্যাটিংয়ে আগাচ্ছেন। শেষ তিন ওভারে তাদের দরকার ৩১ রান, বাংলাদেশের লাগতো ৩ উইকেট। মেহেদী হাসানকে ৪৮তম ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে উল্টো বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন অক্ষর। শেষ ১২ বলে ১৭ রান দরকার ভারতের।
গিলকে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে ফেললো বাংলাদেশ
ডিপ মিডউইকেট দিয়ে মেহেদী হাসানকে বিশাল ছক্কা মারেন শুবমান গিল। বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেন। তবে পরের বলেই ল অফে আরেকটি বড় শট খেলেন তিনি। এবার তাওহীদ হৃদয় ডানদিকে সরে এসে ক্যাচ ধরেন। ১৩৩ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ১২১ রানে থামেন গিল। দলীয় ২০৯ রানে এই সপ্তম উইকেট নিয়ে ভারতকে চাপে ফেললো বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরিতে গিলের এক হাজার
ভারত ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পরের ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের দ্বিতীয় ডেলিভারি থেকে দুই রান নিয়ে সেঞ্চুরি করেন শুবমান গিল। এটি তার পঞ্চম ওয়ানডে শতক, আর এই ইনিংস খেলার পথে ২০২৩ সালে এক হাজার ওয়ানডে রান অতিক্রম করেন তিনি।
মোস্তাফিজের সুইংয়ে বোল্ড জাদেজা
দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়ে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৩৮তম ওভারের চতুর্থ বলে তার সুইং রবীন্দ্র জাদেজার মিডল স্টাম্প ভাঙেন। ১৭০ রানে ভারতের ৬ উইকেট পেলো বাংলাদেশ।
সাকিব নিলেন ভারতের পঞ্চম উইকেট
শুবমান গিলের সঙ্গে জুটিতে পঞ্চাশ রান তোলার পথে ছিলেন সূর্যকুমার। ৪৫ রান হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু আর রান যোগ করতে পারলেন না। ৩৩তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন। সূর্যকুমারের ব্যাটে আসে ২৬ রান।
ইশানকে প্যাভিলিয়নে পাঠালেন মিরাজ
বাংলাদেশের স্পিনাররা চেপে ধরেছেন ভারতকে। ২১তম ওভারে নাসুম আহমেদের কাছ থেকে মাত্র দুটি রান। মেহেদী হাসান মিরাজ পরের ওভারে দেন তিন রান। আর ২৩তম ওভারে সাকিব আল হাসান দেন মেডেন। এরপরই মিরাজের সাফল্য।
স্বাচ্ছন্দে ছিলেন না ইশান কিষাণ। ২৪তম ওভারে মিরাজের প্রথম দুটি বল ডট। তৃতীয় বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল আঘাত করে প্যাডে। বাংলাদেশি স্পিনারের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ইশান। ১৫ বলে ৫ রানে আউট তিনি।
ছক্কা মেরে গিলের হাফ সেঞ্চুরি
ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মারলেন শুবমান গিল। তাতে ৬১ বলে ৫৪ রান হয়ে গেলো ভারতীয় ব্যাটারের। মেহেদী হাসানের বল থেকে পেয়ে গেলেন হাফ সেঞ্চুরি।
রাহুলকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরালেন মেহেদী
তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দারুণ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। এই ডানহাতি পেসার প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট নেন। ১৭ রানে ২ উইকেট পড়ে ভারতের। কিন্তু শুবমান গিল ও লোকেশ রাহুলের জুটি বাংলাদেশের স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ব্রেকথ্রু আনলেন মেহেদী হাসান। রাহুলকে ফিরিয়ে ৫৭ রানের জুটি ভেঙে দিলেন এই অফ ব্রেকার। ১৯ রানে শর্ট মিড উইকেটে শামীম হোসেনের ক্যাচ হন ভারতীয় ব্যাটার। ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারালো ভারত। মেহেদী তার চতুর্থ ওভারে মেডেন উইকেট পেলেন। ১৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৪ রান ভারতের।
পাওয়ার প্লেতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তানজিম সাকিব
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মুগ্ধ করলেন তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট তো নিলেনই, পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৫ ওভারে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রাখলেন। এই সময়ে ২ উইকেটে ৪২ রান নিয়েছে ভারত। তানজিম সাকিব তার ৫ ওভারে ১১ রান খরচায় ২ উইকেট নেন, মেডেন এক ওভার।
দুই ওভারে তানজিম সাকিবের জোড়া উইকেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম উইকেট নিতে তানজিম হাসান সাকিবের লাগলো দুই বল। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওভারে তার হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলটি ওয়াইড দেন। দ্বিতীয় বৈধ বলটি ডট। পরেরটিও ওয়াইড। দুটি ওয়াইড দেওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করেন তানজিম সাকিব। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে কভার পয়েন্টে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ হন রোহিত শর্মা। ভারতের অধিনায়ক মারেন ডাক।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে নতুন ব্যাটার তিলক ভার্মাকে বোল্ড করেন এই ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। ৯ বলে ৫ রান করেন ভারতীয় ব্যাটার। ১৭ রানে ২ উইকেট হারালো ভারত।
২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তিলক ৩৮ রান করেছিলেন। তানজিম সাকিবের কাছেই উইকেট হারান তিনি। দুজনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো শুক্রবার। আবার তানজিম সাকিবই ফেরালেন তিলককে।
ভারতকে ২৬৬ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
দুইশর আগেই সাত উইকেট হারানো বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ এনে দিতে ভালো অবদান রাখেন নাসুম আহমেদ। তার চল্লিশ ছাড়ানো ইনিংসে বাংলাদেশ আড়াইশর স্বপ্ন দেখে। তিনি পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই আউট হলে শেখ মেহেদী হাসান ও তানজিম হাসান সাকিবের ছোট ক্যামিও ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছে ২৬৫ রান। শেষ দুই ওভারে একটি করে ছয় ও চার হাঁকান তানজিম সাকিব। শেষ বলে মেহেদী একটি চার মেরে রান বাড়িয়ে নেন। ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৯ রানে মেহেদী ও তানজিম সাকিব ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
নাসুমের ৬ রানের আক্ষেপ
৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে নাসুম আহমেদ মুগ্ধতা ছড়ালেন। তার দারুণ ইনিংসে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ গড়ার ইঙ্গিত দেয়। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে হাফ সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু ৬ রান দূরে থাকতে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার কাছে আউট নাসুম। ৪৫ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৪৪ রান করে তিনি বোল্ড হন। শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি ছিল নাসুমের।
হৃদয়ও প্যাভিলিয়নে
৪২তম ওভারে তিলক ভার্মার ক্যাচ হলেন তাওহীদ হৃদয়। মোহাম্মদ শামির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস ছিল তার। ১৯৩ রানে সপ্তম উইকেট গেলো বাংলাদেশের।
সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙলো সাকিবের বিদায়ে
শুরুর বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তায়। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে উপহার দিয়েছেন শতরান ছাড়ানো জুটি। সম্ভাবনাময় এই জুটি আশাও দেখাচ্ছিল। দুর্ভাগ্য দলের ১৬০ রানে গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙে সাকিবের বিদায়ে। শর্ট লেংথের বল অলস ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েছিলেন। ফলাফল ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাতে ৮৫ বলে ৮০ রানে শেষ হয় সাকিবের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। সাকিব-হৃদয় জুটিতে যোগ হয় ১০১ রান।
সাকিব-হৃদয়ের জুটিতে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চাপে থাকার মুহূর্তে দিশা দেখালেন সাকিব আল হাসান। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি। সাকিব ফিফটি স্পর্শ করেছেন ৬৫ বলে। পাশাপাশি হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে উপহার দিয়েছেন শতরান ছাড়ানো জুটি।
দু’বার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না মিরাজ
২৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন মিরাজ-সাকিব। ৩১ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু দু’বার জীবন পাওয়া মিরাজ সেটিকে পূর্ণতা দিতে পারেননি। ১৪তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার থেমেছেন ১৩ রানে।
দু’বার জীবন পেয়েছেন মিরাজ।দশম ওভারে দু’বার জীবন পেলেন মিরাজ
শুরুতে এলোমেলো হয়ে পড়া বাংলাদেশ আরও বিপদে পড়তে পারতো। দশম ওভারে জীবন পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাও একবার নয়, দুইবার! শার্দুল ঠাকুরের বলে ক্যাচ উঠলেও ভারতের ফিল্ডাররা তা হাতে জমাতে পারেননি। একটি ছেড়েছেন তিলক বর্মা, আরেকটি সূর্যকুমার।
ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার এনামুল
তানজিদকে বোল্ড করে ষষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত হানেন শার্দুল ঠাকুর। এনামুল হক বিজয়কে (৪) গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন। তাতে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
স্টাম্প উপড়ে গেছে তানজিদ তামিমের।লিটনের পরের ওভারে বোল্ড তানজিদ তামিম
লিটনের উইকেট হারানোর পরের ওভারে বোল্ড হন তানজিদ হাসানও। শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য বল ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প উপড়ে যায় তার। তাতে দলে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাওয়া তানজিদ মাত্র ১৩ রানে থেমেছেন।
শুরুতেই ফিরেছেন লিটন।তৃতীয় ওভারে ফিরলেন লিটন
এশিয়া কাপটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না লিটন। রান পাচ্ছেন না। ভারতের বিপক্ষেও ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে। সামির তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়েছেন।
বাংলাদেশ দলে তানজিদ সাকিবের অভিষেক
ভারতীয় দল ফাইনাল নিশ্চিত করায় পরিবর্তন এনেছে পাঁচটি। অভিষেক হচ্ছে অলরাউন্ডার তিলক বর্মার। আছেন সূর্যকুমার, মোহাম্মদ সামি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তবে বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দলে অভিষেক হচ্ছে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, লোকেশ রাহুল, ইশান কিশান, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, মোহাম্মদ সামি, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
টসের মুহূর্ত।টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
আফগানিস্তানকে হারিয়ে কোনও রকমে সুপার ফোরে উঠলেও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। আজ ভারতের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। কলম্বোয় টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছেন রোহিত শর্মা।
টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও আজ ভারতের বিপক্ষে জয়টা বিশ্বকাপের আগে সাকিবদের মাঝে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। ফলে শেষটা জয়ে রাঙাতে মরিয়া সাকিব বাহিনী।