আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রোমানিয়ার ভূখণ্ডে বা সীমান্তে যে কোনো বিদেশি চাইলে আইন অনুযায়ী আশ্রয়ের আবেদন করতে পারেন। একজন ব্যক্তি যে মুহূর্ত থেকে লিখিত বা মৌখিকভাবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, সেই মুহূর্ত থেকে তাকে আশ্রয়প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ।
গত বছর ২০২২ সালে রোমানিয়ায় ১২ হাজার ৩০০টিরও বেশি আশ্রয় আবেদন নিবন্ধিত হয়েছে। ইউক্রেনীয়দের পর দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন করেছেন যথাক্রমে ভারত, বাংলাদেশ, সিরিয়া ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা। সর্বমোট এক হাজার ৩৬৪ জন বাংলাদেশি ২০২২ সালে রোমানিয়ার আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) জানিয়েছে, গত বছর দেশটির ভূখণ্ডে ও সীমান্তে মিলিয়ে সর্বমোট ১২ হাজার ৩০০টিরও বেশি আশ্রয় আবেদন নিবন্ধিত হয়েছে। তালিকায় সর্বাধিক আশ্রয় আবেদন চেয়েছে ইউক্রেনের নাগরিকরা। রাশিয়ার হামলার কারণে চার হাজার ৩৯৮ জন ইউক্রেনীয় গত বছর রোমানিয়ায় সুরক্ষা চেয়েছেন।
ইউক্রেনের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদন করেছেন ভারতীয় নাগরিকরা। দেশটির এক হাজার ২৮৪ জন আবেদনকারী রোমানিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে সুরক্ষা চেয়েছেন।
অপরদিকে আইজিআই প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গত বছর বাংলাদেশের এক হাজার ৩৬৪ জন আবেদনকারী আশ্রয় আবেদন দায়ের করেছেন। এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এক হাজার ৩১৩টিি আবেদন নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে সিরিয়ার আবেদনকারীরা এবং ৮০৩টি আবেদন নিয়ে পঞ্চম শীর্ষ দেশের তালিকায় আছে পাকিস্তানের আবেদনকারীরা।
এর আগে চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি রোমানিয়া সরকারের জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশিদের সর্বমোট ১২ হাজার ৯৬০টি দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদান করা হয়েছে৷ যার সিংহভাগই পেয়েছেন ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসায় আসা ব্যক্তিরা৷
জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) আরো জানায়, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট তিন হাজার ৯৬ জন বাংলাদেশি অভিবাসী রেসিডেন্স পারমিট বা বসবাসের বৈধ অনুমোদন নিয়ে রোমানিয়ায় অবস্থান করছিলেন৷ তাদের মধ্যে দুই হাজার ৯০৫ জন ওয়ার্ক পারমিটের আওতায়, ১৪৪ জন উচ্চশিক্ষায়, ২০ জন পারিবারিক ভিসায় এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের আওতায় আছেন ১১ জন৷
দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে আসা বাংলাদেশিদের সিকিভাগ শেষ পর্যন্ত রোমানিয়ায় অবস্থান করছেন৷ বাকিরা অনিয়মিত উপায়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷