আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতার ৫২ বছরেও গরিব মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি। শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এ কথা বলা হয়।
সভায় বলা হয়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও গরিব মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো মানুষকে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে হয়, খোলা আকাশের নিচে, বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ না থাকায় তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ঘুষ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডির চাল কিছুই পান না গরিব মানুষ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সবশেষ সার্বজনীন পেনশন বিল পাস করলেও সেখানে গরিব মানুষের দাবি মানা হয়নি।
ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জমাবিহীন পেনশনের দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের বয়স ষাট হলেও তাকে পেনশন দিতে হবে। মাসে মাসে এসব গরিব খেটে খাওয়া মানুষ টাকা জমাতে পারবে না। সরকারকেই এ টাকা জমাতে হবে। সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রতিবছর বাজেট হয়। বাজেটে গ্রামীণ বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের নামে লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এর বেশির ভাগ অথই লুটপাট হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ বঞ্চিতই থেকে যায়।
অবিলম্বে পল্লী রেশনিং চালুর দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ গরিব মানুষ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তাদের জন্য রেশনিং চালু করে ন্যূনতম দামে চাল, ডাল, তেল, আটা, লবন, চিনি দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অধিকার আদায়ে, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে ক্ষেতমজুর সমিতি গড়ে তোলে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা। আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, বর্তমান সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সহ-সভাপতি পরেশ কর, সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, প্রদ্যুৎ ফৌজদার, লিয়াকত আলী কাক্কু, মোজাহারুল হক, এখলাসুর রহমান চৌধুরী, লোকমান হোসেন, হারুন আল-বারী, এমদাদুল হক মিলন, শ্রীকান্ত মাহাতো, অমৃত বড়ুয়া, সুশান্ত দেবনাথ খোকন।
সভায় আগামী বাজেটে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের নিশ্চয়তায় প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের দাবি এবং ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের দাবি বাস্তবায়নে জেলায়-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়।