আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে পেনাল্টি শুট-আউটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ইতালি। শুট-আউটে ৩-২ এ জয়ে ৫৩ বছর পর ইউরোপ সেরার শিরোপা নিজেদের করলো তারা।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়ে গেলো। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের দেওয়া গোলে প্রথমার্ধ শেষ হলো ১-১ সমতায়। যার ফলে খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও কেউ গোল করতে সমর্থ হয়নি।
টাইব্রেকারে ইতালির পক্ষে গোল করেন বেরারদি, গোল করেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন, কিন্তু বেলোত্তির শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড, তবে ইংল্যান্ডের হ্যারি মাগুইর শট ঠেকাতে পারেননি দেন্নারুমা। ফলে স্কোরলাইন হয় ১-২। এরপর গোল করেন ইতালির বোনুচ্চি কিন্তু ইংল্যান্ডের রাশফোর্ডের শট পোস্টে প্রতিহত হয়। স্কোর ফের সমতায় ২-২।
এবার গোল করেন ইতালির বার্নারদেসচি। কিন্ত ইংল্যান্ডের স্যাঞ্চোর শট বাঁচিয়ে দেন দোন্নারুমা। স্কোরলাইন হয় ৩-২।
জোরগিনহোর শট বাঁচিয়ে দেন পিকফোর্ড। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ইংল্যান্ডের সাকার শটও বাঁচিয়ে দেন দোন্নারুমা। ফলে ৩-২ স্কোরলাইনে জয় পায় ইতালি।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো কাপের টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মাত্র ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে গোল করে ইউরোর রেকর্ডবুকে নাম লেখান ইংলিশ ডিফেন্ডার লিউক শ।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার কিক পায় ইতালি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে ইংল্যান্ড।
বক্সের ডান পাশ লম্বা পাস দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। দৌড়ে এগিয়ে এসে লিউক শ ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন। মুহূর্তেই বলটি ইতালির জালে জড়িয়ে যায়।
এটি লিউকের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল ইউরোর ফাইনালে। গোলটি করে ইউরো কাপের ইতিহাসে সর্বকালীন একটি রেকর্ড গড়লেন। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে করা তার গোলটিই এখন ইউরোর ফাইনাল ম্যাচে করা দ্রুততম গোল।