তাৎক্ষণিক সেনা প্রত্যাহারে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস, ভোট দেয়নি বাংলাদেশসহ ৩৫ দেশ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ইউক্রেনে টানা আটদিন ধরে চলমান রাশিয়ার সামরিক হামলার প্রতিবাদে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। একই সাথে কঠোরভাবে ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ বাহিনীকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সর্বোচ্চ সতর্ক করার সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বুধবার (২ মার্চ) জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ভোটাভুটিতে ১৪১টি দেশ অংশ নেয়। এতে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে রাশিয়াকে তিরস্কার করা হয়। একই সাথে ইউক্রেন থেকে তাৎক্ষণিক সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

রুশ হামলা বন্ধ করে সেনা প্রত্যাহার এবং এ ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাবের জন্য সোমবার জাতিসংঘের বিশেষ জরুরি বৈঠক শুরু হয়। ৩ দিন ধরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিতর্কে অংশ নেন সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা।

পরে বুধবার সেনা প্রত্যাহার ও নিন্দা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হলে ৫টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। সেই দেশগুলো হচ্ছে- রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে বাংলাদেশ, চীনসহ ৩৫ দেশ।

যেসব দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে

বাংলাদেশ, চীন, আলজেরিয়া, অ্যাংগোলা, আর্মেনিয়া, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক, কঙ্গো, কিউবা, এল সালভাদর, ইকুয়েটোরিয়াল গানিয়া, ভারত, ইরান, ইরাক, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মাদাগাস্কার, মালি, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ সুদান, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তাজিকিস্তান, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে।

এদিকে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, তুরস্কসহ বাকি ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।

যে প্রস্তাব জানায় বাংলাদেশ

মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের একাগ্রতার প্রতি সমর্থন জানান এবং সবপক্ষকে সংঘাত থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানান। সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে সংলাপে মিলিত হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

একইসঙ্গে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তার নিরাপদ ও অবাধ প্রবেশাধিকারের সুযোগের নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশটি যারা ছাড়তে চায়, তাদের পথ নিরাপদ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ইউক্রেনের বন্দরনগরী খেরসন দখলের পর রাজধানী শহর কিয়েভ দখলে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। এরই মধ্যে অন্তত চারটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে এসব বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

SHARE THIS ARTICLE