স্থায়ী জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ পল্টন থানার হামলা ও উসকানির মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ মামলায় তারা ছয় মাসের জামিনে ছিলেন। গতকাল তাদের স্থায়ী জামিন দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। জামিনের প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ বলেও ঘোষণা করেন আদালত।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম গোলাম মোস্তফা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।

স্থায়ী জামিনের আদেশ পাওয়ার পর জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।’

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উত্কণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজনের মৃত্যু হয়, আহত হয় শতাধিক। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন গ্রেফতার না করলেও পরদিন রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে। এরপর ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিতে চাইলেও সে আবেদন এবং পাশাপাশি জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়।

এর পরই উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। পরে গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এ আদেশের পরদিন সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হন।

SHARE THIS ARTICLE