আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ২১৮ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় চূড়ান্তভাবে লাইসেন্স বাতিল হলো মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশের প্রথম মোবাইলফোন অপারেটরের যাত্রা।
বিটিআরসি তার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টির জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) লাইসেন্স বাতিলের অনুমোদনের চিঠি পায় বিটিআরসি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবার (১৫ মার্চ) সিটিসেলকে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠানো হতে পারে।
বিটিআরসির কমিশনার (লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি পাওয়া গেছে। এখন সিটিসেলকে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠানো হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব এস এম তারিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও বিটিআরসির সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৪৬(৩) (খ)-এর বিধান অনুযায়ী, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (পিবিটিএল) অনুকূলে ইস্যুকৃত টু-জি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হলো।
তবে গ্রাহক কমতে থাকায় ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে সিটিসেলের সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির তরঙ্গ ও নবায়ন করা তরঙ্গের (স্পেক্ট্রাম) বরাদ্দও বাতিল হয়েছে। এবার টু-জি লাইসেন্স বাতিলের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হলো সিটিসেল।
এদিকে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম (প্রা.) লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরটির লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।