আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় বাস উল্টে আগুন ধরে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮জনে দাড়িয়েছে।বুধবার (২৯ মার্চ) জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান জানান, আসির প্রদেশে আকাবা শারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আরও ৬ প্রবাসী বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নতুন করে পরিচয় পাওয়া ৬ জন হলেন- খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া। তবে তাদের বিস্তারিত এখনো জানতে পারেনি দূতাবাস।
গত সোমবার ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। আসির প্রদেশ এবং আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে বাসটির ব্রেক ফেল হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত এবং তার মধ্যে বাংলাদেশি ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
ওই আটজন হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া।
এরপর বুধবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন নতুন করে আরও ৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা জানান।
তারা হলেন- কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যশোরের রনি এবং কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলিত বাংলাদেশিদের মধ্যে আহত ১৬ জনের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন এবং কয়েকজন এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আসির প্রদেশের ঘটনাটি ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা ও মদিনায় নিরাপদে যাওয়ার বিষয়টিকে কার্যত চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। রমজানে বহু মানুষ ওমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছেন এবং হজের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, এমন সময়ে এ ঘটনা ঘটল।