ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগের মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে বাদী রাকিব হাসান সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রবিবার (২১ মে) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে রাকিবকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। তবে নাসিরের শ্বাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে রাকিবের সাক্ষ্য শেষ

গত ২০ মার্চ রাকিব সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এর আগে গত বছর ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু।

সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

৩১ জানুয়ারি বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি গ্রহণ শেষ হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালত আসামি ও বাদীপক্ষের পৃথক দুটি রিভিশন খারিজ করে দেন। অর্থাৎ নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানার বিচার চলবে, মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন হবেন না মর্মে আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।

নাসির-তামিমার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

অভিযোগ আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলা অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

দণ্ডবিধির ৪৯৭, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় মামলাটির আবেদন করা হয়েছে। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়।

SHARE THIS ARTICLE