আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির উঠানে খেলার সময় বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বজ্রপাতে বগুড়ায় এক নববধূ এবং ঝিনাইদহ, পঞ্চগড় ও কিশোরগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
নওগাঁয় মৃত দুই শিশুর নাম শামিউল আলম (৯) ও রিফাত হোসেন (৩)। তারা রানীনগর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের লাভলু ফকিরের ছেলে। প্রতিবেশী আলমগীর হোসেন বলেন, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে উঠানে খেলার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই শামিউল ও রিফাতের মৃত্যু হয়। লাভলুর দুই সন্তানই ছিল। তাদের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ওই পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ফাতেমা বেগম (৩০) নামে এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের খোকসাগাড়ী বিলে এ ঘটনা ঘটে। ফাতেমা ওই ইউনিয়নের মাগুড়াই গ্রামের রনি মিয়ার স্ত্রী। দুই মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে খোকসাগাড়ী বিলে হাঁস আনতে যান ফাতেমা। ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পারদখলপুর গ্রামে বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে গরু চরানোর সময় বজ্রপাতে গোলাপ মুন্সী (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। একই মাঠে ছাগল চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন এলাকার যুবক মামুন। এ ছাড়া শহরতলির শুড়া এলাকায় বজ্রপাতে চায়না খাতুন নামে এক নারী আহত হয়েছেন। হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আবু আজিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তাঁরা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুস সালাম (৪০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের পুহাতুগছ এলাকায় ভেরসা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুস সালাম ওই এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় হাওরে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে মিন্নত আলী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে তাঁর ভাতিজা ইয়াছিন (৮)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের সাভিয়ানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মিন্নত ওই গ্রামের শফর আলীর ছেলে।