আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতায় ভ্লাদিমির পুতিন। রাজনৈতিক জীবনে বহু বাধা আর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে নানা সংকট তাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। চ্যালেঞ্জের মুখেই বেসরকারি আধা-সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহে মহাসংকটে রুপ নিয়েছিল।
তবে ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সেই লড়াই অনেকটা নাটকীয় ভাবেই থেমে গেছে। ক্রেমলিনের সামরিক নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগেই।
আর এবার রাশিয়া ছাড়তে চলেছেন ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন তিনি।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় এক চুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াগনার প্রধান। রবিবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির অধীনে প্রিগোজিন রুশ ভূখণ্ড ছাড়বেন বলে শনিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মতিতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। কারণ তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে প্রিগোজিনকে চেনেন।
ইউক্রেনে সম্মুখসারিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে ওয়াগনার বাহিনী। এই পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে তাতে বড় অবদান রয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এই বাহিনী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।