অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বিধান

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ নামাজ বা নামায (ফার্সি: نماز‎‎) বা সালাত বা সালাহ (আরবি: صلاة‎‎) ইসলাম ধর্মের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। ইসলামে ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ।

বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তবে বসে নামাজ পড়ো, যদি তা-ও না পারো তবে ইশারা করে নামাজ আদায় করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৫০) এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, অসুস্থ অবস্থায়ও নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ নেই।

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি নামাজের সব রুকন আদায় করতে অক্ষম হলে যেসব রুকন আদায় করতে সক্ষম সেগুলো আদায় করবে।

যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে অক্ষম, সে বসে বসে রুকু-সিজদা আদায় করে নামাজ পড়বে।

একইভাবে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলে রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা হলে অথবা আরোগ্য হতে দেরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হলে বসে নামাজ আদায় করার অনুমতি আছে।

আর যদি বসে রুকু-সিজদা করতেও অপারগ হয়, তাহলে সে বসে ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৪৭, ১০৫০)

হাসপাতালের করোনা শয্যায় ঈদের নামাজ! - banglanews24.com

যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৭৬)

সিজদা করার জন্য কোনো বস্তু ওপরে তুলে সেটার ওপর সিজদা করার প্রয়োজন নেই। (সুনানে কুবরা, হাদিস: ৩৮১৯, ইবনে আবি শায়বা: ১/২৭৩)

> কেউ যদি অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়তে অপারগ হয়, তাহলে সে শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়বে। তার পা কিবলার দিকে করে শোয়াতে হবে। মাথাকে সামান্য ওপরে তুলে শোয়াবে, যাতে চেহারা কিবলার দিকে হয়। এরপর ইশারা করে রুকু-সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/২৭৩)

> যদি মাথা দিয়ে ইশারা করা হয়, তা রুকু-সিজদার স্থলাভিষিক্ত বিবেচিত হবে। যদি ইশারা চোখ বা অন্তরে হয়, তাহলে নামাজ সহিহ হবে না। (সুনানে কুবরা, হাদিস: ৩৭১৯)

যদি অসুস্থ ব্যক্তি মাথা দ্বারাও ইশারা করতে অক্ষম হয়, তাহলে দেখতে হবে এ অবস্থা কতক্ষণ থাকে। যদি পাঁচ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়, তবে ওই সব নামাজ মাথা দিয়ে ইশারা করে কাজা করবে।

যদি এর চেয়ে বেশি সময়ও উন্নতি না হয়, তবে ওই সব নামাজ তার দায়িত্ব থেকে চলে যাবে। অর্থাৎ এগুলো আদায় করতে হবে না। (মুআত্তা মুহাম্মদ, হাদিস: ২৭৮, দারা কুতনি: ১৮৮৩)

SHARE THIS ARTICLE