ঘুরে আসুন পোল্যান্ডের সেরা ৭ জায়গায়

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড ব্যস্ততম শহর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পোল্যান্ড দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিবাহিনী কর্তৃক ব্যাপক পরিসরে ইহুদিনিধন ইতিহাসে বিভৎসতার চিহ্ন হয়ে রয়েছে। পোল্যান্ডে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে সেরা ৭ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। 

১. মালবর্ক

Dhaka Post

ইউরোপের মধ্যযুগে মালবর্ক শহরটিকে ম্যারিনবার্গ নামে ডাকা হতো। তখন শহরটি জার্মানির অন্তর্ভুক্ত ছিলো। শহরটি সুরক্ষিত দুর্গের জন্য বিখ্যাত। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্গ ভার্জিন ম্যারি। দুর্গটি নির্মাণ করতে ২৩০ বছর সময় লেগেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহরের দুর্গগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়। 

২. লুবলিন

Dhaka Post

ভিস্টুলা অঙ্গরাজ্যের পূর্বদিকে অবস্থিত লুবলিন শহর পোল্যান্ডের পুরনো শহর। ষষ্ঠ শতকে এই শহরে জনবসতি গড়ে ওঠে। শহরটিতে বেশিরভাগ ইহুদি জনগোষ্ঠী বসবাস করে থাকে। এই শহরে রাশিয়ান-বাইজান্টাইন স্থাপত্যে নির্মিত হোলি ত্রিনিটি চ্যাপেল নামে একটি গীর্জা অবস্থিত যা খ্রিস্টধর্মাবলম্বী পর্যটকদের কাছে অনেক পছন্দের। 

৩. বাইয়ালোউয়িজা ফরেস্ট

Dhaka Post

বাইয়ালোউয়িজা ফরেস্ট পোল্যান্ড ও বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে অবস্থিত। এখানে নেকড়ে, লাল হরিণ, বন্য শূকরসহ আরও নানা প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান মিলবে। এই জঙ্গল অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের জন্য অনেক পছন্দের। 

৪. তোরুন

Dhaka Post

ভিস্টুলা নদীর তীরে তোরুন শহর অবস্থিত। এই শহরেই বিজ্ঞানী কোপার্নিকাস জন্ম নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহর মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। শহরটিতে ইউরোপের মধ্যযুগে নির্মিত অভিজাত ভবন রয়েছে। 

৫. তাত্রা ন্যাশনাল পার্ক

Dhaka Post

পোল্যান্ডের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত তাত্রা ন্যাশনাল পার্ক। এটি ১৯৫৪ সালে স্থাপিত হয়। পার্কটির প্রধান আকর্ষণ তাত্রা মাউন্টেইন। এছাড়া অ্যাডভেঞ্চারবিলাসীদের জন্য জঙ্গলে পিকনিক করার রয়েছে অনেক বড় সুযোগ। 

৬. পোজন্যান

Dhaka Post

পোল্যান্ডের তৃতীয় বড় বিশ্ববিদ্যালয় পোজন্যান শহরে রয়েছে। এই শহরে সবচেয়ে বড় উৎসব মাল্টা ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। উৎসবের সময় এই শহরের অগণিত পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। 

৭. রোক্ল

Dhaka Post

ওদের নদীর তীরে অবস্থিত রোক্ল শহর পোল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর। প্রুশিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানি ও বোহেমিয়ার দ্বারা কয়েক শতক ধরে এই শহর শাসিত হয়েছে। ১৯৪৫ সাল থেকে এই শহর পোল্যান্ডের অন্তর্ভূক্ত হয়। এই শহরে ওল্ড টাউন হল, সেন্ট এলিজাবেথের গীর্জাসহ আরও অনেক আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এছাড়া এই শহরে রয়েছে চিড়িয়াখানা যেখানে দর্শনার্থীরা প্রায় ভ্রমণ করে থাকেন।

SHARE THIS ARTICLE