সংকুচিত হজ্ব ২০২০ ও হতাশায় নিমজ্জিত বিশ্ব মুসলিম

জিন্নুরাইন জাইগিরদার, ১৩ই জুলাই’২০২০ – আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ �বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্ব ব্যাবস্থাকে বিপর্য্যস্ত করে দিয়েছে। এই বিপর্য্যস্ততার দমকা হাওয়ায় বিশ্বের ১৯০ কোটি মুসলিম ধর্মীয় মানুষও আক্রান্ত। আক্রান্ত হওয়া এবং জীবনহানির ব্যাপারে কোভিড-১৯ এক সার্বজনীনতা প্রদর্শন করেছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরীব, বাদশাহ, আমির, অমাত্য কাউকেই ছাড় দেয়নি এই ভাইরাস। মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি যথা মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায়, জুমার নামাজ আদায়, ঈদের নামাজ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি বাতিল কিংবা স্থগিত করতে হয়েছিলো দেশে দেশে। কোথাও কোথাও মসজিদে নামাজ ইতিমধ্যে পুনরায় শুরু হয়েছে তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। এই অবস্থায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ন এবং অন্যতম অনুষ্ঠান হজ্ব আসন্নপ্রায়। করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সৌদি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এই বছরের হজ্জ্বে অংশ নিতে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের নিষিদ্ধ করেছে। সৌদি আরবের অভ্যন্তরে বসবাসকারী অল্প সংখ্যক তীর্থযাত্রীকে নিয়ে এবারের হজ্জ সম্পন্ন করা হবে বলে হজ্জ মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। এই সংখ্যা মাত্র ১০০০ জনে সীমাবদ্ধ রাখার কথাও প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণত, ১৪০ টিরও বেশি দেশ থেকে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ বার্ষিক বৃহত্তম এই মুসলিম ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নিয়ে থাকে। এবারো ২০-২৫ লক্ষ লোক অংশ নেবে বলে আশা করা হয়েছিল।সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে যে এই বছর হজ্জ্বে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সীমিত করার ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হজ্বের অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে যার ফলশ্রুতিতে কোভিড সংক্রমণ থেকে দেশ এবং জাতিকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে।

সীমিত আকারে হজ্ব সৌদির বাইরের কেউ ...

মক্কা: মধ্যপ্রাচ্যে করোনা প্রজনন স্থল মধ্য প্রাচ্যের সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থেকে কোভিড সংক্রমণের সাথে লড়াই করছে সৌদি আরব। ২,৩২,২৫৯ এরও বেশি করোনায় সনাক্ত ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ছে আর ২২২৩ জনের জীবনহানি হয়েছে এই রাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে কারফিউ সহ, নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জারি করা বিভিন্ন আঞ্চলিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।মক্কা শহরটি তার ঘনবসতিপূর্ন বস্তি বাসী, নিবন্ধিত এবং নিবন্ধিত নয় এমন অভিবাসীদের নিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রজনন কেন্দ্র, হটবেড হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। মক্কায় ইতিমধ্যে ৬৫,০০০ এরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১১০০ জনের বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই হজ্জ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ লোকের জমায়েত – কাবা প্রদক্ষিণ, আরাফাত মাঠে জড়ো হওয়া, মিনাতে অবস্থান, পাথর নিক্ষেপ, গবাদি পশু কোরবানি ইত্যাদি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হলে কোভিড-১৯ নামক ভাইরাস রোগের সংক্রমনের প্রধান উৎস হিসাবে পরিগণিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় সৌদি কর্তৃপক্ষ এধরনের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।সৌদি প্রেস এজিন্সী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, “জীবন রক্ষায় ইসলামের শিক্ষা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”। সৌদি আরব অতীতে ইবোলা এবং মার্স এর মতো সংক্রামক রোগগুলির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল, তবে বর্তমান মহামারীটি তার অত্যন্ত উচ্চ সংক্রমণ হারের সাথে এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

হজ্ব স্থগিতের ইতিহাসঃ মুসলিম বিশ্বের অন্যতম তীর্থস্থান মক্কা আল মোকাররামা । এখানে বছরের এমন কোন সময় নেই যখন হাজারো-লক্ষ তীর্থযাত্রীদের ভিড় লেগে থাকেনা। বিগত মার্চ থেকে, মক্কার মহান মসজিদের আভ্যন্তরীণ জনশূন্যতার দৃশ্য মুসলিম বিশ্বজুড়ে বেদনার বার্তা পাঠিয়েছিল। মার্চ মাসেই সৌদি কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে উমরাহ করতে আসা সকল তীর্থযাত্রীদের ভিসা প্রদান অস্থায়ীভাবে স্থগিত ঘোষণা করে। হজরত ইব্রাহীম (আঃ সাঃ) কর্তৃক কাবা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই স্থান ধর্মীয় গুরুত্ব অর্জন করেছিলো এবং তীর্থস্থান হিসাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছিলো। এক সময়ে এই মক্কা হয়ে উঠে পৌত্তলিকতার কেন্দ্রভূমি। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ আঃ) ৬৩০ খৃষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে পুনরায় এই তীর্থস্থানকে একশ্বরবাদের তীর্থভূমিতে পরিণত করেন এবং নূতন ধারায় হজ্বের প্রবর্তন হয় ৬৩১ খৃষ্টাব্দে যখন হযরত আবু বকরের নেতৃত্বে ৩০০ জন মুসলিম হজ্জ সম্পাদন করেন। এর পরের বছর ৬৩২ খৃষ্টাব্দে নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ আঃ) এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক মুসলিমের অংশগ্রহণের মাধ্যমে হজ্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই হজ্ব ছিল হজরত মুহাম্মদ (সাঃ আঃ) এর জীবনে প্রথম এবং শেষ হজ্ব। এই হজ্বেই আরাফাতের ময়দানের রহমতের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের ভাষণ প্রদান করেছিলেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ আঃ)।

�এর পর আজ অবধি বিভিন্ন সময়ে রোগ, দ্বন্দ্ব এবং হামলার কারণে এই মক্কা নগরীতে হজ্জ বাতিল কিংবা স্থগিত করতে হয়েছিলো। সৌদি বাদশাহ আব্দুল আজিজ রিসার্চ এন্ড আর্কাইভস এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজ্ব নামক ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর থেকে আজ অবধি ৪০ বার কোন না কোন কারণে স্থগিত কিংবা অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সীমিত করতে হয়েছিলো।

ওমরাহ , হজ্ব ভিসা প্রক্রিয়া - Home | Facebook

�৮৬৫ খৃষ্টাব্দে ইসমাইল বিন ইউসুফের নেতৃত্বে আব্বাসীয় খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়, সেই সময়ে হজ্জ অনুষ্ঠান চলাকালে ইসমাইল বিন ইউসুফের অনুসারীরা আরাফাতের ময়দানে রহমতের পাহাড়ের পাদদেশে পাশবিক হত্যাযজ্ঞ চালালে তৎকালীন আব্বাসি খলীফা হজ্জ স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হন। ৯৩০ খৃষ্টাব্দে, দশ বছরের জন্য হজ্জ বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময়ে শিয়া সম্প্রদায়ের কারময়াশিয়ান নামক উপদল পূর্ব আরবে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে যারা হজ্বের অনুষ্ঠানাদিকে পৌত্তলিক অনুষ্ঠান হিসাবে আখ্যায়িত করে ৩০,০০০ অংশগ্রহণকারীকে হত্যা করে, যার ফোলে দীর্ঘদিন হজ্বের অনুষ্ঠানাদি স্থগিত করা হয়েছিলো। ৯৬৭ সালে, প্লেগ নামক মহামারীর কারণে তিন চতুর্থাংশ হজ্জ পালনকারীকে জীবন দিতে হয়েছিলো, তাই ঐ বছর হজ্জ বাতিল কমরা হয়। এর পর দুর্ভিক্ষ আর কলেরার কারণে ১০৪৮ সালে এবং কলেরা, প্লেগ এই সব মহামারীর কারণে হজ্বের অনুষ্ঠানাদি সংকুচিত হয়েছে কয়েকবার ১৮৩৭ থেকে ১৮৯২-এর মধ্যে।

�তবে ১৯৩২ সালে আধুনিক সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ৮৮ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম হজ্বের আনুষ্ঠিনকতা সীমিত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু ...

হজ্জ্ব ও সৌদি অর্থনীতিঃ এবারের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বেশ কয়েকটি দেশ এই অনুষ্ঠানে তাদের দেশের অংশগ্রনের ব্যাপারে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিল এবং এই অনুষ্ঠান স্থগিত কিংবা বাতিলের প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে আসছিলো। সৌদি আরবের জন্য এই ধর্মীয় সমাবেশ স্থগিত কিংবা বাতিলের সিদ্ধান্ত ততটা সহজ ছিল না কেননা এই অনুষ্ঠান ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিশাল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনুসারে পাঁচ দিনের এই আনুষ্ঠানিকতা থেকে প্রতিবছর রাষ্ট্রের আয়ের পরিমাণ আনুমানিক ৮ বিলিয়ন ডলার। করোনা মহামারী ও তেলের মূল্যস্ফীতি সৌদি অর্থনীতিতে ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থা উত্তরণে ইতিমধ্যে সৌদি আরব ঋণ বাজারে প্রবেশ এবং ভ্যাট তিনগুণ করতে বাধ্য হয়েছে। ব্লুমবার্গের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে এই বছর দেশটির অর্থনীতি ৪.১% সংকুচিত হতে পারে। সৌদি সরকার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ এর মূল দুটো খাত যথা পর্যটন এবং বিনোদন উন্নয়নে ব্যয় হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসাবে, দেশটি ২০২০ সালে ওমরাহ হজযাত্রীদের সংখ্যা দ্বিগুণ করে ১ কোটি ৫০ লক্ষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সৌদি চেম্বারস কাউন্সিলের মতে, ২০১৮-২০২২ পর্যন্ত হজ্জ এবং ওমরা থেকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত আয় এবং এই খাত থেকে ১ লক্ষ চাকুরী সৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিলো। কোভিড মহামারীর কারণে মক্কা এবং মদিনার স্থানীয় অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়ায় অর্থনীতিতে গভীর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ...

হজ্জ ক্ষমতার চিহ্নঃ মক্কায় ক্বাবা ঘর এবং মদিনায় নবী মোহাম্মদ (সাঃ আঃ ) এর কবর থাকার কারণে সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বে ক্ষমতা, চিন্তা ও চেতনার প্রতিভূ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সৌদি রাজতন্ত্র ও বর্তমান নীতিসমূহ প্রচণ্ড সমালোচিত হলেও এই দেশ মুসলিম বিশ্বে এক সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত আছে। আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কিছু অংশ কোনভাবেই হজ্জকে সীমিত করার পক্ষাবলম্বন করবেনা অন্যদিকে হজ্জ বাতিল কিংবা স্থগিত করার চিন্তা এই সরকারের জন্য ভয়াবহ হতে পারে। তাই সীমিত আকারে হজ্ব অনুষ্ঠান উভয় পক্ষের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা এনে দিতে পারে।

�সৌদি রাজতান্ত্রিক ক্ষমতার বলয়ে আজ মোহাম্মদ বিন সালমান একজন অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ যুবরাজ। আন্তর্জাতিক বলয়ে সৌদি আরব বর্তমান সময়ে এক নাজুক অবস্থানে আছে একদিকে ইয়েমেনে সৌদি আরব জড়িয়েছে এক যুদ্ধে। ইরান ও তুরস্কের মত দুটি শক্তিশালী মুসলিম প্রধান দেশের সাথে পরোক্ষ দ্বন্দ্ব আন্তর্জাতিক মুসলিম অঙ্গনে সৌদি আরবকে দুর্বল করেছে। এমতাবস্থায় হজ্ব বাতিল কিংবা স্থগিত করা যেমন কঠিন পুনরায় ভবিষ্যতে হজ্বের কার্য্যক্রম শুরু করায় কি পরিস্থিতি দাড়ায় সেটা দেখার সময় এখনো বাকী।

��মরিয়া সময়ের আশা পবিত্র হজ্ব ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলিমের জীবনে একবার হজ্জ্বব্রত পালন করা অত্যাবশ্যক। ইসলামের সর্বাধিক পবিত্র স্থান কাবা প্রদক্ষিণ একটি প্রতিকি কাজ যা আল্লাহর ইবাদতে বিশ্বাসীদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শনের ইঙ্গিতবহ। বিশ্বজুড়ে কয়েক লক্ষ মুসলিম তিলে তিলে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পরিকল্পনা বুক বেধে থাকে হজ্জ্ব সম্পাদনের আশায়। এই অবস্থায় একবার হজ্জ্বে না আসতে পারা যে কত বেশী হতাশা আর বেদনার সেটা শুধুমাত্র ভুক্তভুগীরা অনুধাবন করতে পারবেন। এই বছরের ২৫ লক্ষ মুসলিমকে যদি আগামী বছর স্থান সংকুলান করতে হয় তাহলে হজ্জ্বে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে কিন্তু বর্তমান অবস্থায় কোনভাবেই সংখ্যাবৃদ্ধির সক্ষমতা ঐ দেশটির নাই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সাথে সাথে, এ বছর হজ্জ করতে না পেরে হতাশায় অনেক মুসলিম আজ বিপর্য্যস্ত। তবে বিশ্বাস হচ্ছে মুসলিমের মানসিক স্তম্ভ, স্রষ্টার অনিচ্ছায় এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কোন কিছুই সংগঠিত হয়না হতে পারেও না। তাই এবারের সংকুচিত হজ্জ্বের অনুষ্ঠানাদি ভবিষ্যতের সোনালী বার্তা হবে এই আশায় চেয়ে আছে বিশ্ব সম্প্রদায়।।

SHARE THIS ARTICLE