আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ করোনার সংক্রমণ এড়াতে গোটা বিশ্বে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব স্যানিটাইজার ৭০% বেশি অ্যালকোহলযুক্ত হতে হবে। তাহলে প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে।
তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো ব্যবহার করে আগুনের কাছে গেলেই পুড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি ভারতের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন (এফডিএ) জানিয়েছেন, কিছু স্যানিটাইজারে ক্ষতিকর অ্যালকোহল রয়েছে। এটি মানবদেহে ক্ষতিকর প্ৰভাব ফেলতে পারে। এর ব্যবহারে অন্ধও হয়ে যেতে পারে মানুষ। আহত হয়ে কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
গবেষকদের মতে, কিছু স্যানিটাইজারের আবশ্যিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ইথানল। পরে যা মিথানল হিসেবে পজিটিভ হয়ে পড়ছে। এটি ভয়ংকর অ্যালকোহল নামে পরিচিত।
এফডিএ সমসাময়িক ৬৯টি উপাদানের তালিকা প্রকাশ করেছে। এগুলো ক্রেতাদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। গেল ১৫ জুলাই নিষিদ্ধের তালিকায় আরো দুটি দ্রব্য যুক্ত হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে এফডিএ কমিশনার স্টিফেন এম হান জানান, গ্রাহক ও স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীদের মিথানল দিয়ে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। অ্যালকোহল ভিত্তিক এসব ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মিথানল সহকারে প্রস্তুত স্যানিটাইজার ক্ষতিকারক?
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য দফতর ও সংস্থা বলছে- জীবাণু প্রতিরোধক স্যানিটাইজার ব্যবহারে বমি, মাথাব্যথা, অন্ধত্ব, অজ্ঞান হওয়া থেকে কোমা পর্যন্ত যেতে পারে মানুষ। অ্যালকোহল উপাদান ইথানল শরীরের তেমন ক্ষতি করে না। তাই স্যানিটাইজার তৈরিতে প্রায় ৭০% ব্যবহার করা যায়। এর থেকেও বেশি অনেক সময় ব্যবহৃত হয়। তবে কোনোভাবেই মিথানল ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না।
ইথানলের চেয়ে মিথানল অনেকটাই সস্তা। তাই অনেক কেমিস্ট কমে খরচে বেশি মুনাফার আশায় মিথানল ব্যবহার করে চলেছেন। এ ঘারানার স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।