আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সপ্তাহ খানেক পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা।করোনার কারণে এবারের পশুর হাট থাকবে গত বছরগুলো থেকে ভিন্ন। মানতে হবে কিছু নিয়ম-কানুন।যার মধ্যে প্রথম হচ্চে মাস্ক ব্যতীত কেউ পশুরহাটে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কেউ পশুরহাটে প্রবেশ করতে পারবে না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সকল ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা প্রদানকালে এ বার্তা দেন তিনি। এ সময় কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না হয়, সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দেন আইজিপি। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য স্বাভাবিক ট্রাফিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন ড. বেনজীর আহমেদ।
ঈদকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া তল্লাশির নামে কোনো গাড়ি না থামানোর নির্দেশ দেন পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, ‘সড়ক ও নৌপথে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে।’
ড. বেনজীর আহমেদ জানান, হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ কোরবানির পশুবাহী গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সেক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাস এবং অন্যান্য পরিবহনে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। যাত্রা শুরুর প্রান্তেই সকল ধরনের পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়ক, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার, করিমন, নসিমন ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।’
আইজিপি বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু কিছু অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকায় চুরি, ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধ বন্ধের লক্ষ্যে পেট্রোল বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।’
