আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রাজধানীর হাতিরপুলের নিজ বা;সায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে লাগা আ;;গুনে দগ্ধ চিকিৎসক রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) মা;রা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে মারা যান তিনি।গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দিনগত রাতে আগুনে দগ্ধ হন ডা. রাজিব ও তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য (৩২)। ডা. রাজিব ভট্টাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন এবং তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য (৩২) শ্যামলী সেন্ট্রাল মেডিকেল চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার। স্বজনরা জানান, রাজিবের বাড়ি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার ইস্টগ্রামে। একমাত্র মেয়ে রাজশ্রী ভট্টাচার্যকে (৫) নিয়ে হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের একটি বাড়ির ৩য় তলায় ভাড়া থাকেন। তার বাবার নাম লক্ষ্মণ ভট্টাচার্য। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাজিব সবার ছোট। আর অনূসূয়ার বাড়ি সিলেট। হাসপাতালে ভর্তির পর বুধবার (২২ জুলাই) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাজিবের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৮৭ শতাংশ ও আর তার স্ত্রীর ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রাজিবকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্ক;টাপন্ন। স্ত্রীর অবস্থাও গুরুতর। যতটুকু শুনেছি বাসার ভেতর হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগুনের সংস্পর্শে এলে এ অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে দগ্ধ রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে বলেন, রাতে বাসায় রাজিব একটি বড় বোতল থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছোট বোতলে ঢালছিলেন। তখন বোতল থেকে স্যানিটাইজার পড়ে গেলে মুখে সিগারেট অথবা মশার কয়েলের আগুনের সংস্পর্শে তার শরীরে আ;গুন লেগে যায়। তা দেখে তার স্ত্রী সম্ভবত তাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের ভা;ড়াটিয়ারা তাদের উ;দ্ধার করে রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করেন।