ওসি প্রদীপসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তার স্বামী আবদুল জলিলকে কক্সবাজার শহরের আদালত পাড়া থেকে আটক করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানষ বড়ুয়া। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরের মাধ্যমে তাকে টেকনাফ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচাতে ওসি প্রদীপ গ্রেপ্তারকৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম এর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

পরে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে সানোয়ারা বেগম স্বামীকে বাঁচাতে প্রদীপকে পাঁচ লাখ টাকা দেন। একপর্যায়ে দীর্ঘ আট মাস পর চলতি বছরের ৭ জুলাই জলিল ক্রসফায়ারে নিহত হন। এ ঘটনায় স্বামীর বিচার চেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সানোয়ারা বেগম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান, সুজিত চন্দ্র দে, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, নাজিম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাম চন্দ্র দাস, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও দফাদার আমিনুল হক।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, আদালত শুনানি শেষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই ঘটনা নিয়ে টেকনাফ থানায় কোনো মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে কি না, তা আদালতকে জানানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

এদিকে বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাবের দুই দফায় ১১ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

SHARE THIS ARTICLE