আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসি চায় না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা চায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ধর্ষকের আমৃত্যু যাবজ্জীবন সাজা। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি বিরোধী আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করতে এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সাত দফা দাবি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানহা তানজিন লিখিত সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানহা তানজিন বলেন, ধর্ষণ আইন পুনঃবিবেচনার মাধ্যমে ধর্ষকের এবং সীমা ভেদে সকল প্রকার যৌন হয়রানির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদ- নিশ্চিত করতে হবে। ভিকটিমের প্রাণ বিপন্ন করা রুখতে পরিবর্তনযোগ্য লঘু শাস্তির উল্লেখ থাকতে হবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৭৫ ধারা অনুসারে উল্লিখিত ধর্ষণের সংজ্ঞা সংশোধন করতে হবে, যাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ছেলে শিশু, পুরুষ, যৌনকর্মী, লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় মানুষও আইনের শরণাপন্ন হতে পারেন। তিনি আরো জানান, সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারার বিলোপ, অর্থাৎ জেরা করার সময় যাতে ধর্ষণের শিকার নারীকে পুলিশ, আইনজীবী ও বিচারক চরিত্র, পেশা, পোশাক ইত্যাদি নিয়ে হেনস্তা না করে। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীদের মামলা পরিচালনাকালে লিঙ্গীয় সংবেদনশীল আচরণ করতে পুলিশ, আইনজীবী, বিচারক ও সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের প্রতিটি মাদ্রাসা, স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক ও মিডিয়াতে এবং সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন, নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক ছবি, নির্দেশনা এবং শব্দ চয়ন পরিহার করতে হবে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করারও দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ভিকারুননিসা নূন কলেজের চৌধুরী নদী ও তাসফিয়া তারান্নাম রিদিতা, গভ: ল্যাবরেটরি কলেজের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহিন আহমেদ এবং বৃটিশ কাউন্সিলের সাদিয়া আরাফাত সুচিতাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।