আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে ছাত্র পরিষদের তদন্ত কমিটি।
রোববার তদন্ত কমিটি তাদের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলেছে, হাসান আল মামুন ওই ছাত্রীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক’ করেছে, এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ‘নিরপেক্ষ নয়’ মন্তব্য করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত ২১ সেপ্টেম্বর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবেই তাদের পরস্পরের পরিচয় হয়, সাংগঠনিক কাজের সূত্রে নয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোনো ঘটনা ঘটছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি কোনো তথ্য প্রমাণ পায়নি।
এমনকি অভিযোগকারীও এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। প্রতিবেদনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে অভিযোগকারী ছাত্রীর কখনোই সাক্ষাৎ হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতীয়মান হয়েছে’ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।