আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃঅবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
বিচার শুরু হওয়া আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
এরআগে ঘুষ কেলেঙ্কারির একটি মামলায়ও ডিআইজি মিজানের বিচার শুরু হয়েছে। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে সম্পদের মামলায় ডিআইজি মিজান এবং মাহমুদুল হাসান কারাগারে রয়েছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমজী, শাহিনুর রহমান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মেদ আলী সালাম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপর তাদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলাটিতে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। গত ২ জুলাই আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।