এ,কে, আজাদ- আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের লক্ষ্যে বিশ্বে গবেষণা চলছে দ্রুতগতিতে, একই সাথে বিভিন্ন কোম্পানি এই ভ্যাক্সিন গবেষণায় বিশাল অর্থ লগ্নি করেছে। এই ভ্যাক্সিন আবিষ্কার নিয়ে বিশ্বে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা চলছে। যে কোম্পানি আগে ভ্যাক্সিন বাজারে আনবে সে ইতিহাস সৃষ্টি করবে আর সেই সাথে বিলিয়ন ডলারের মুনাফা। এই মুহূর্তে এই যুদ্ধে সফলতার ঘোষণা দেয়া “সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক” হিসাবে বর্ণিত, ফাইজার/বায়োনটেক ভ্যাকসিনের সর্বশেষ সংবাদের জন্য সবাই উৎসুক।
আজ ফাইজার/বায়োনটেকের এই ভ্যাক্সিন ৩০ কোটি ডোজ কেনার জন্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউরোপীয় কমিশন ইতিমধ্যে আরও তিনটি ভ্যাক্সিন কেনার ব্যাপারে চুক্তি করেছে, ফাইজার/বায়োনটেকের ভ্যাক্সিন হবে চতুর্থ চুক্তি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আয়ারল্যান্ডকে এই ভ্যাক্সিনের ১.১% বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই ভিত্তিতে, আয়ারল্যান্ড পাবে এই ভ্যাকসিনের ৩৩ লক্ষ ডোজ। এই ৩৩ লক্ষ ডোজ পাওয়া গেলে সর্বমোট ১৬ লক্ষ মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া যাবে, কেননা প্রতি মানুষকে এই ভ্যাকসিন দুটি করে ডোজ দিতে হবে।
ইতিমধ্যে ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে এই ভ্যাক্সিন পাওয়া গেলে তা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দ্রুততম সময়ে সরবরাহ করা হবে। এদিকে এস্ট্রাজেনেকার সম্ভাব্য ভ্যাক্সিন ৩০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করা আছে এবং প্রয়োজনে আরও ১০ কোটি ডোজ কেনার কথাও যুক্ত আছে। এছাড়া সানোফি-জিএসকের সাথে আরও ৩০ কোটি, জনসন এন্ড জনসনের সাথে ২০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে এই ডোজের সংখ্যা দ্বিগুণ করার কথাও রয়েছে।
কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার জন্যে ১১ টি সম্ভাব্য ভ্যাক্সিন চূড়ান্ত ধাপের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে। এর মধ্যে ফাইজার/বায়োনটেক প্রথম একটি অন্তর্বর্তিকালীন ইতিবাচক ফলাফলের ঘোষণা দিল। তাদের দাবী অনুসারে এই ভ্যাক্সিন ৯০% এর বেশী কার্য্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন, ভ্যাক্সিন প্রাপ্তি আর চুক্তি সমূহের সংবাদ আশাব্যাঞ্জক হলেও আমাদের জানা থাকা প্রয়োজন যে, এখনো কোনও ভ্যাক্সিনই ব্যাবহারের জন্য অনুমোদন পায়নি। এমনকি যদি আগামী সপ্তাহ বা মাসগুলিতে কোনও একটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েও যায় তাহলেও এগুলো দেশে দেশে বিতরণ করতে কিছুটা সময় লাগবে এবং এই ভ্যাকসিন প্রথমে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্রবীণ এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাবহার করা হবে। তারপর এটি সাধারণ জনগণের জন্য ব্যাবহার করা হবে।
যদি এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে আগামী বছরের প্রথম দিকে ঝুকিপূর্ন মানুষের জন্য এবং মাঝামাঝি সময়ে সাধারণ জনগণকে এই ভ্যাক্সিন দেওয়া যেতে পারে।