ঝিনাইদহের শৈলকূপায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইকে হত্যা, পরে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লাশ উদ্ধার

লিয়াকত হোসেন বল্টু (বাঁয়ে) ও আলমগীর হোসেন বাবু।

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলীর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টুকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে পৌরসভার কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গলিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

একই ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।এদিকে, এই ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে নদীতে পাওয়া গেছে কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মৃতদেহ। নদীর ভেতরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল তার লাশ।

কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এই কমিশনার প্রার্থীর তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুটি মৃত্যুর ঘটনা প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। একটি ঘটনার জেরে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের সমর্থক ও পরিবার দাবি করছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হতে পারে।

পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায় শৈলকুপা পৌরসভার নাগরিক ও ভোটারদের মাঝে চরম উদ্বেগ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরসহ পৌর এলাকার সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকিং চলছে।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ও প্রার্থী শওকত আলীর ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় প্রার্থী শওকত আলীসহ তার ৩ ভাই কবিরপুর তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে ভোট চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী বাবু খানের সমর্থকরা। এতে প্রার্থী শওকত আলী ও তার ভাই লিয়াকত হোসেন বল্টু মারাত্মক আহত হয়।

তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। বল্টুর অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

SHARE THIS ARTICLE