মির্জা কাদেরের এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ছাড়তে চান পুলিশের ১২ কর্মকর্তা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরর ভাই মির্জা কাদেরের এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় কর্মরত ১২ পুলিশ অফিসার বদলির আবেদন করেছেন। তারা প্রত্যেকে পৃথক পৃথকভাবে ব্যক্তিগত অসুবিধা উল্লেখ করে বদলির আবেদন করেন। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ বদলি চাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সূত্র জানিয়েছে, ১২ জন পুলিশ অফিসার একযোগে বদলির আবেদন নিয়ে থানার সব অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। 

গণহারে বদলি চাওয়া অফিসাররা হলেন- এসআই সরোজ রতন আচার্য, এসআই জাকির হোসেন, এসআই শাহীদ হোসাইন, এসআই মো. নিজাম উদ্দিন, এসআই এমরান হোসাইন, এসআই রিয়াদুল হাসান, এএসআই বাবুল মিয়া বেগ, এএসআই মো. আবদুল জাহের, এএসআই মো. জহির হোসেন, এএসআই রবিউল আলম। এছাড়াও এ থানায় কর্মরত অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা বদলির আবেদন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

১২ জন অফিসার একযোগে ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে বদলির আবেদন করলেও তবে অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চলমান কোম্পানীগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অফিসাররা নিজেদের মানিয়ে নিতে না পেরে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বদলির দরখাস্ত পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ করে থানায় কর্মরত বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে অন্যত্র যে কোনো থানায় বদলির আবেদন জমা দিয়েছেন। সকলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির বরাবরে বদলির আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করেছেন।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বদলি চাওয়া এক পুলিশ অফিসার বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় চলমান পরিস্থিতিতে সম্মানের সঙ্গে সরকারি অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গত কারণে সম্মান থাকতে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে অন্য থানায় বদলি হয়ে যেতে চাচ্ছি। বদলি চাওয়া ১২ জন অফিসার চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর এ বদলির আবেদন পৃথক পৃথকভাবে করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য,গত বেশ কিছুদিন যাবত সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা (তার ভাষায়) নোয়াখালী সদরের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী সদরের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি বন্ধসহ তাদের টেন্ডার-বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এ সময় তিনি নোয়াখালী ও ফেনীর নাম উল্লেখিত দুই নেতার সাথে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

বর্তমানে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৯ জন এসআই ও ১০ এএসআই কর্মরত রয়েছেন।

SHARE THIS ARTICLE