আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রাজধানীর শাপলা চত্বরে মোদী বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। বিক্ষোভ মিছিল থেকে আরও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টন থানাধীন মুক্তাঙ্গনে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন আলোচিত ডাকসু নেতা নূরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। পরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে আরেক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় মিছিল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোদী বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন আলোচিত শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় মতিঝিল থানার এসআই ইসমাইল হোসেন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
জানতে চাইলে এসআই ইসমাইল হোসেন বাংলা ট্রিবউনকে বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম মাদানী ’শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এদিকে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভ থেকে মোট ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানীও রয়েছেন। আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভকারীদের হামলায় সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে এসি প্যাট্রল, পল্টন থানার ওসি, একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি তিন জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।