অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রবণতা বাড়ছে ইতালিতে

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ইতালিতে অভিভাবক ও সঙ্গীহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসনপ্রত্যাশী পরিবারের কাউকে ছাড়াই ইতালিতে এসেছেন।

ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অধিকার রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী অভিভাবকদের সংখ্যা আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন শিশু ও কিশোরদের উন্নয়নে ইতালি সরকার মনোনীত প্রতিনিধি কার্লা গেরলাত্তি।

মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের আইনি অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালনে দেশটির নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গেরলাত্তি। অভিভাবক হতে নাগরিকদের মধ্যে আরো সচেতনতা বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ইতালির যেসব অঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বেশি আসেন।

অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রবণতা বাড়ছে

এ বছর এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯৫৬ জন অভিভাবক ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্করা ইতালিতে এসেছে। গত বছর এই সময়ে সংখ্যাটি ছিল ৭৩৭। ফলে এবার অপ্রাপ্তবয়স্কদের আগমণ বেড়েছে প্রায় তিন ‍গুণ।

সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য বলছে, গত এক দশকে এক লাখেরও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী এবং শরণার্থী ইতালিতে এসেছে।

কার্লা গেরলাত্তির অফিস জানিয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের জন্য তিন হাজার ৪৫৭ স্বেচ্ছাসেবী অভিভাবককে নিয়োগ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। তাদের প্রত্যেককে এ বিষয় প্রশিক্ষণ দিয়েছে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।

প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে গেরলাত্তি বলেন, “অভিভাবকদের কিছু মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে। তারা এ দেশের নাগরিক এবং স্বেচ্ছায় দায়িত্বটি গ্রহণ করছেন। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক বিদেশিদের দায়িত্ব পালনে কতগুলো বিষয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে: তাদের যত্নআত্তি, সামাজিক সেবা নিশ্চিত করা, আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ, আঞ্চলিক স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্কুল, ট্রাইব্যুনাল এবং কিশোর আদালতের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। ফলে প্রশিক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”

অনেক অভিভাবক নিয়োগ দেওয়া হলেও তা এখনও যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন গেরলাত্তি। তবে এটিকে আবার “জরুরি পরিস্থিতি” হিসেবেও দেখছেন না তিনি।

স্বেচ্ছাসেবক বাড়াতে চলছে জোর প্রচেষ্টা

গেরলাত্তি বলেছেন, অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে যারা রাজি হয়েছেন তাদের প্রশিক্ষণে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশগুলো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে দ্রুত অভিভাবক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আদালতের প্রতিও আহ্বান রেখেছেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী বিশ্বের আর সব শিশুর মতো এসব শিশুদেরও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতের নিয়োগ দেওয়া অভিভাবকদের ব্যয় নির্বাহে এক লাখ ইউরো বরাদ্দের দাবি ওঠে। তবে প্রক্রিয়া জটিল হলেও, কিশোর আদালতের সিদ্ধান্তে বিশেষ পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের ৯০০ ইউরো পর্যন্ত ভাতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

SHARE THIS ARTICLE