আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

পুরুষতান্ত্রিক সময়ে একসময় নারীরা ছিল অবহেলিত, নিপীড়িত। পুরুষের সমান তো দূরের কথা, সাধারণ কিছু স্বাধীনতাও নারীরা পেতো না। সেই সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে এখন নারীরা বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সমান তালে। তবে এই পরিবর্তন রাতারাতি আসেনি। দীর্ঘবছর স্থানভেদে নারীদের সমন্বিত প্রতিবাদ বর্তমান এই চিত্র ফুটিয়ে তোলার পথ তৈরি করেছিল।

এক সময় নারীদের ভোট দেওয়ার বা বাইরে কাজ করতে যাওয়ার অধিকার অবধি ছিল না। পোশাক, খাবার, সাজ-গোজ, জীবনধারায় থাকতো নানারকম বিধি-নিষেধ। কালের বিবর্তনে আর সাংসারিক প্রয়োজনে এক সময় নারীরা বাইরে কাজ করতে যেতে শুরু করলো। তবে তারপরও কাজের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের বৈষম্য ছির লক্ষ্যণীয়।

১৯০৮ সালে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় গার্মেন্টসে কর্মরত নারীরা আন্দোলনে নামে। তাদের মূল দাবি ছিল কাজের সময় কমানো, ভাল বেতন এবং ভোট দেওয়ার অধিকার। এই আন্দোলনের দাবিতে ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। এই ব্যাপারে কারো কারো মতামতে ভিন্নতা দেখা যায়। তাদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং কিছু ইউরোপের দেশে ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ নারী দিবস পালন হয়। তবে মূলত রাশিয়াতে প্রথমবার ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করার তথ্য রয়েছে।

নারীদের এই আন্দোলনের যাত্রা সহজ ছিল না। তাদের দাবি খুব সহজে মেনে নেওয়া হয়েছিল, তাও নয়। বহু বছরের প্রতিক্ষার পর এই নারী দিবস বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে এখনো এই তারিখেই নারী দিবস পালন করা হয়ে আসছে। (হিন্দুস্তান টাইমস তথ্যমতে)

নারী মায়াবতী, নারী মমতাময়ী, নারীরা জাদুকরী। যত্নের সাথে সব সাজিয়ে আগলে রাখতে পটু। ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখতে যেমন জানে, তেমন রণক্ষেত্র কাঁপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। মা, বোন, স্ত্রী, শিক্ষিকা, রাস্তায় হেঁটে যাওয়া বা বাসে পাশে বসা প্রতিটি নারীই একেক জন নীরব যোদ্ধা।

SHARE THIS ARTICLE