আয়ারল্যান্ডে লক ডাউন এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিহল মার্টিন বলেছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে সামাজিক কার্য্যক্রম খুলে দেয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ সমূহ  এপ্রিলের শেষ পর্য্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেই তিনি মনে করেন। মিহল মার্টিন আরও বলেন, নির্মান খাতের কার্য্যক্রমও এই সময়ে পুরোপুরি ফিরে যাবার সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।

গতকাল শুক্রবার ডাবলিনে এক বক্তব্যে মিহল মার্টিন জানান, “সরকারের নিকট এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ন হচ্ছে চাইল্ড কেয়ার এবং স্কুল খুলে দেয়া।” এব্যাপারে তিনি বলেন, “মার্চ মাসে পর্য্যায়ক্রমে চাইল্ড কেয়ার এবং স্কুল খুলে দেয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।”

মিহল মার্টিন বলেন, “বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে কোভীড সংক্রমণের প্রায় ৯০% নূতন ধরনের বি ১১৭, যার কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। এব্যাপারে আগামী সোমবার ক্যাবিনেট সাব কমিটি আলোচনা করবে এবং মঙ্গলবারে মন্ত্রীসভার বৈঠকে কিভাবে কোভিড নিয়ে বসবাস করতে হবে সেই সংক্রান্ত বিষয়াদি পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশা করা যায়।”

বৃহস্পতিবার আইরিশ মিররের সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিহল মার্টিন বলেছিলেন যে, পাব, রেস্টুরেন্ট, হেয়ার ড্রেসার এসকল পরিসেবা আরও দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখার সম্ভাবনা। তিনি বলেন, পরিকল্পনা সমূহ মার্চ এবং এপ্রিলে সার্বক্ষনিক পর্য্যালোচনা করে তার আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কোভিডের টিকা সম্পর্কে তিনি বলেন যে, এই সপ্তাহে, প্রায় ৮০,০০০ লোককে টিকা দেওয়া হবে, পরের সপ্তাহে এই সংখ্যা ১১০,০০০ জনে বৃদ্ধি পাবে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতি সপ্তাহে টিকা প্রদানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই লাখের কাছাকাছি, আশা করা যাচ্ছে যে পরিমাণ টিকা আসার কথা সেটা নির্দিষ্ট সময়েই আমরা পেতে যাচ্ছি যা আমাদের সকলের জন্য সুখবর।

পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে দ্রুত টিকা প্রদান করা হলেও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমন্বিত কর্মসূচী চলছে শ্লথ গতিতে। যুক্তরাজ্য যেখানে ইতিমধ্যে ৩২% মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন করেছে সেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশ সমূহে ৪-৬% মানুষকে এই টিকা দেয়া হয়েছে মাত্র। টিকা প্রদান কার্য্যক্রম যত দ্রুত করা যাবে তত দ্রুত স্বাভাবিক কার্য্যক্রমে ফিরে যাওয়া সহজ হবে বলেই অনেকের ধারনা।

তথ্যসূত্রঃ আইরিশ টাইমস, আর টি ই, আইরিশ মিরর 

SHARE THIS ARTICLE