আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ নকশা ও নির্মাণবিষয়ক মূল চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন করে সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেট নির্মাণের পরিকল্পনা অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে আমেরিকান কোম্পানি বুম সুপারসনিক। সংস্থাটির লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে কনকর্ড স্টাইলের জেটগুলো যেন আকাশে উড়তে পারে। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।
সুপারসনিক উড়োজাহাজের মূল কাঠামো তৈরি করবে ইতালীয় মহাকাশ জায়ান্ট লিওনার্দো। পাখা ডিজাইন করবে স্পেনের অ্যার্ননোভা। উড়োজাহাজের লেজের অংশ নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে অ্যাসিটুরি। মঙ্গলবার প্যারিস এয়ার শোতে এ সম্পর্কিত ঘোষণা দেয় বুম।
২০১৪ সালে বুম সুপারসনিকের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ব্লেক স্কোল। তিনি আশা করেন, তাদের প্রস্তুতকৃত সুপারসনিক জেটগুলো ২০২৯ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য সনদপ্রাপ্ত হবে। এরই মধ্যে ১৩০টি উড়োজাহাজ তৈরির ক্রয়াদেশ পেয়েছে বুম। সংস্থাটির সঙ্গে ইউনাইটেড, আমেরিকান এয়ারলাইনস ও জাপান এয়ারলাইনসের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
উত্তর ক্যারোলিনার গ্রিনসবোরোতে অবস্থিত বুম সুপারসনিকের কারখানায় বছরে ৩৩টি উড়োজাহাজ তৈরি হবে। সক্ষমতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় উৎপাদন লাইন নিয়ে কাজ চলছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বুম সুপারসনিকের উড়োজাহাজটি ৬৫-৮০ জন যাত্রী পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ম্যাক ১ দশমিক ৭ গতিতে উড়তে পারে, যা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ মাইল। এর সুপারসনিক গতি প্রচলিত বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের গতির তুলনায় দ্রুত। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলো ঘণ্টায় ৫০০-৬০০ মাইল গতিতে উড়তে সক্ষম।
অতীতের সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের নামানুসারে উড়োজাহাজগুলোর ডাকনাম রাখা হয়েছে ‘সন অব কনকর্ড’। আগের মডেলগুলো যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স যৌথভাবে তৈরি করেছিল। ২০০০ সালের জুলাইয়ে প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দরে মারাত্মক দুর্ঘটনার পর অ্যাংলো-ফরাসি প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়। ওই ঘটনায় ১১৩ জন নিহত হন। শেষবারের মতো কনকর্ড আকাশে ওড়ে ২০০৩ সালে।