আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে গত সপ্তাহের শেষ ভাগ থেকে সকল স্কুল খুলে দেয়ার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর স্কুলে যাওয়া শুরু করলো। কোভিড-১৯ মহামারী ইউরোপে সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিক থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ প্রথমে স্কুল কলেজ বন্ধ করে এবং পরবর্তীতে সারা দেশ লক ডাউন করে দেয়। এই লক ডাউন বাস্তবায়নের ফলে সকল দেশে ধীরে ধীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমে আসতে থাকে। এই ফাঁকে কিছু কিছু দেশ ধাপে ধাপে লক ডাউন খুলে দিতে থাকে, যদিও কোভিড-১৯ সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে এখনো আনা সম্ভব হয় নাই। এই পর্য্যায়ে এই সপ্তাহ থেকে সকল স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হলো।�সকল স্কুলে সংক্রমণ রোধে অতিরিক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১২ বছর বয়সের উর্ধে সকল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিটি স্কুলে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে, এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখেই বসার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যাবহারেরও সুযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও সকল ছাত্র ছাত্রীদেরকে সম্ভব হলে, গন পরিবরহন অর্থাৎ বাস, লুয়াস কিংবা ট্রেন ব্যাবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আজকে আয়ারল্যান্ডের দুটি প্রাইমারী স্কুলে একজন করে ছাত্র কোভীড পজিটিভ হলে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি কক্ষ খুব ভালো করে পরিষ্কারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে এবং পাবলিক হেলথ বিভাগের পরামর্শ অনুসারে শ্রেণীকক্ষের ছাত্র ছাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য সেলফ আইসোলেশনের উপদেশ দিয়ে অভিভাকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও এই সংক্রমণ স্কুল থেকে হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। আয়ারল্যান্ডে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পুনরায় ধীরে ধীরে বাড়ছে গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে নূতন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২১৭, মে মাসের পর আজকের নূতন সংক্রমণের এই সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। জাতীয় পাবলিক হেলথ বিভাগ থেকে বারে বারে জনস্বার্থে সকল নাগরিককে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই পর্য্যায়ে সকলকে সামাজিক দূরত্ব ও হাত ধুয়াধুয়ি বজায় রাখার পাশাপাশি কোনভাবেই ঘরের ভিতরে ৬ জন এবং বহিরাংগনে ১৫ জনের অতিরিক্ত জনসমাগম না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পাবলিক পরিবহন, দোকানে কিংবা শপিং কমপ্লেক্স এরকম জনাকীর্ন স্থানে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংক্রমণের এই সংখ্যা সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে না আসার পরও স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে এই ব্যাপারে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই পুনরায় সংক্রমণের ভয়ে ভীত। �একইভাবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও স্পেনেও স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। ইটালিতে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে স্কুল খুলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যাতিক্রমী সুইডেনে কখনো স্কুল বন্ধই করা হয়নি কিংবা লক ডাউনও করা হয়নি।