ইউরোপের স্বপ্ন: ৯ বছরে প্রাণহানি অর্ধলাখের বেশি

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক অভিাবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) এর মিসিং মাইগ্র্যান্টস প্রোজেক্ট নামের প্রকল্পের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নিখোঁজ ও মৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা জানানো হয়েছে।

আইওএম প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গত ৯ বছরে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর। এই মৃতদের অধিকাংশই সাগরে ডুবে মারা গেছে। তাদের অনেকের লাশও মেলেনি।

এই ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসীর মধ্যে ২৫ হাজার ৩৮৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভৌগলিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপকে বিচ্ছিন্ন করা ভূমধ্যসাগরে ডুবে। এছাড়া ঠান্ডা, খাবার-পানি ও আশ্রয়ের অভাব, শারীরিক অসুস্থতা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের। এমনকি ইউরোপে প্রবেশের পরও অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষের।

ইউরোপের স্বপ্ন ৯ বছরে কেড়েছে অর্ধলাখ প্রাণ

আইওএমের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর ২০২২ সালে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৭ জনের। আর চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ২৮ জন। এক বছরের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ২০১৬ সালে। ওই বছর ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৪ জনের। তার আগের বছর, ২০১৫ সালে মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৭১৪টি। এটি এক বছরের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা।

আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমদিকে আফ্রিকা ও এশীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একমাত্র রুট ছিল তুরস্ক। তুরস্কের ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে গ্রিস বা ইতালিতে উদ্দেশে রওনা হতেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

তবে গত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক রুটের পাশাপাশি লিবিয়া ও তিউনিশিয়া রুটও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। , এ দুই রুটে গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন কয়েক শত অভিবাসনপ্রত্যাশী।

শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে প্রবেশ করার প্রবণতা অনেক বেশি— এমন ১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে আইওএম। সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নামও আছে এ তালিকায়।

এছাড়া বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশের নাম ভারত, তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ অবস্থান। পাকিস্তান অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে।

SHARE THIS ARTICLE