এমসি কলেজে গণধর্ষণঃ বাদী ও ভুক্তভোগীকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, গৃহবধূ গণধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা একই আদালতে (নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে) পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া কোনো আসামির পক্ষে আইনজীবী না থাকলে তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে, ধর্ষণের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তর করতে মামলার বাদীর আবেদনে সাড়া দেননি হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম ও সাবরিনা জেরিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম সাংবাদিকদের জানান, আদালত পৃথক দু’টি মামলার শুনানি একসঙ্গে করার পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, কোনো আসামি আইনজীবী না পেলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্টেট ডিফেন্স নিযুক্ত করে বিচারকার্য শুরু করা। অপরটি হচ্ছে ভুক্তভোগী বাদী ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের নিরাপত্তা দেয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় মোট ৫১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।

Image result for এমসি কলেজে গণধর্ষ

মামলার বাদীসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল রোববার। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের বিড়ম্বনার কথা বিবেচনায় নিয়ে ও দ্রুত বিচারের স্বার্থে একই আদালতে একসঙ্গে বিচারকার্যের আবেদন উচ্চ আদালতে করার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের বিচারককে লিখিতভাবে জানান। ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশেদা সাঈদা খানম বলেন, বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। মামলার আটজন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়ার সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে শুনানির বিষয়টি জানান। বিচারক তখন সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবির আদেশ দেন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করার কথা জানান।
এর আগে, ২৪শে জানুয়ারি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ দু’টি মামলা একসঙ্গে বিচারকাজ শুরু করার আবেদন করা হয়। এই আবেদনে একজন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী নিযুক্ত না করার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছিল। বিচারকার্য শুরুর আগে কোনো আসামি আইনজীবী না পেলে স্টেট ডিফেন্স দেয়ার বিধান আছে। এই বিধান না মানলে নিম্ন আদালতের রায় পরবর্তী সময়ে অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ থাকে। আমরা এই বিষয়টিও আবেদনে উল্লেখ করেছিলাম। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর এই আবেদন নিয়ে ওই দিনই উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা।

SHARE THIS ARTICLE