ওয়াজে কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় কাল্পনিক গল্প ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য নিষিদ্ধ করে পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক করে ধর্মীয় বক্তৃতা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি (আইনি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে কাল্পনিক গল্প ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শুনে যুবসমাজ যাতে উগ্রবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে প্রভাবিত না হয় এজন্য প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থসমূহের অনুবাদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করারও দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আলেম বা ধর্মপ্রচারকদের ওপর অনেক পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আলেমগণ বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা ও ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন কাল্পনিক বক্তব্য, জাল, জয়িফ হাদিস, গালগল্প ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ইউটিউব, ফেসবুকের মাধ্যমে এসব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

আজও ফরিদপুরের মাহফিলে আসছেন আজহারী, লক্ষ মানুষের ঢল

এছাড়া বহুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আমাদের আলেমগণ বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা, ওয়াজ মাহফিলে যথাযথ কোরআন ও সহীহ হাদীসের রেফারেন্স উল্লেখ না করে নিজেদের মতো বক্তব্য দিয়ে সরকার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনসাধারণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করছেন।’ নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বাংলাদেশ সংবিধানের ২ (ক) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সেহেতু এই ইসলাম ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে প্রচার করা সরকারের অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।’ নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

SHARE THIS ARTICLE