ডঃ আরমান রহমান : ২২ মে পৃথিবীর বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট একটা পেপার পাবলিশ করেছে। এই পেপারে তারা দেখিয়েছে করোনা ভাইরাসের চাইনিজ ভ্যাক্সিন প্রথম হিউমান ট্রাইলেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখাচ্ছে। মার্চের ১৬ থেকে ২৭ তারিখে উহানে তারা ১৯৫ জন মানুষের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে বেছে নিয়েছে এই ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্যে। তাদের মধ্যে ৫১% পুরুষ, ৪৯% মহিলা,তাদের গড় বয়স ৩৬ বছর।
তাদরকে তিনটি গ্রূপে ভাগ করে কম মাত্রার ডোজ, মাঝারি মাত্রার ডোজ এবং বেশি মাত্রার ডোজে এই ভ্যাক্সিন দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে: এক. এই ভ্যাক্সিন নিরাপদ কি না দুই. কত খানি ডোজ মানুষের শরীরে সহ্য হয় তিন. তাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম এই ভাইরাসের বিপরীতে কেমন রিয়াক্ট করে. সফলতার পরিমাপক হিসেবে দেখা হয়েছে ৭ দিন পর্যন্ত এদের শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, ২৮ দিন পর্যন্ত দেখা হয়েছে এই ভ্যাক্সিন নিরাপদ কি না, এর পরে দেখা হয়েছে এই ভ্যাক্সিন এদের শরীরে করোনা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম এন্টিবডি তৈরী করতে পারছে কি না. অত্যন্ত আশা ব্যাঞ্জক যে, দেখা গেছে এই ভ্যাক্সিনের জন্যে তিন গ্রূপেই ১৪ দিনে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম এন্টিবডি উল্লেখযোগ্যভাবে তৈরী হয়ে গেছে, যা ২৮ দিনের মাথায় পরিপূর্ন মাত্রায় রক্তে দেখা গেছে।ভাইরাস ইনফেক্টেড সেল ধ্বংস করে দেয়ার জন্যে যেইধরণের ‘টি সেল’ দরকার, তাও ১৪ দিনের মাথায় পরিপূর্ন মাত্রায় রক্তে এসে গেছে।