আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ কানাডায় শিখ ধর্মাবলম্বীদের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের নিহতের ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ভারতের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশই পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কারও করেছে।
এ কারণে নিজ দেশের নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে সতর্কবার্তা দিয়েছে কানাডা। এই বার্তার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কানাডায় বসবাসরত ভারতীয়দের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা ও দিনযাপন করার বার্তা দিয়েছে দিল্লি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সেই বার্তায় বলা হয়, ‘কানাডায় দিন দিন ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং প্রবাসী ভারতীয়দের ওপর রাজনৈতিক ঘৃণামূলক হামলার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে যেসব ভারতীয় দেশটিতে ভ্রমণে গিয়েছেন কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাদের সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল ও দিনযাপন করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, কানাডায় বসবাসকারী শিখ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর ১৯৭৭ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর জেলা থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। পরে সেখানাকার নাগরিকত্বও অর্জন করেন তিনি।
একই সঙ্গে ভারতের একজন তালিকাভুক্ত ‘ফেরার’ সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠায় তৎপর দুই রাজনৈতিক সংগঠন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার নেতা ছিলেন তিনি। হরদীপকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করাতে আগ্রহী ছিল ভারত।
গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ। যে গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হয়েছিলেন, সেটির পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে
ট্রুডোর এই অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ভারত।