‘কার্যকর’ ডাবলিন বিধিমালা চায় ইউরোপীয় নেতারা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ সংস্কার ও পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ডাবলিন রেগুলেশন বা বিধিমালাটি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং অস্ট্রিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের বৈঠকের সময় অংশীজনেরা ডাবলিন রেগুলেশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

EU brings great prosperity to its members | Kiel Institute

শেঙেনভুক্ত দেশগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এসময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে গোটা ইউরোপে একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রণয়ন (সিইএএস) এবং ডাবলিন বিধিমালাকে কার্যকর করতে সম্মত হন তারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা জোর দিয়ে বলেছেন, দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সংহতির ক্ষেত্রে বর্তমান যে ব্যবস্থাপনা আছে সেটিকে আরো কার্যকর করতে হবে। ডাবলিন রেগুলশনকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সিইএএস সংস্কারেও নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলো।

The Dublin Regulation | Presseportal

আশ্রয়প্রার্থীদের চাপ কোনো একটি দেশ নিজের কাঁধে না রেখে, সেটিকে গোটা ইউরোপ মিলে ভাগাভাগি করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই ডাবলিন বিধিমালাটি প্রণীত হয়।

এই রেগুলেশন অনুযায়ী, একজন আশ্রয়প্রার্থী ডাবলিনভুক্ত প্রথম যে দেশটিতে আসবে, সেখানেই তাকে আশ্রয় আবেদন করতে হবে। তা না করে যদি তিনি অন্য কোনো দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন, তাহলে তাকে প্রথম প্রবেশ করা দেশটিতে ফেরত পাঠানো হবে।

অ্যাসাইলাম মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট রেগুলেশন (এএমএমআর) এবং অ্যাসাইলাম প্রসিডিওরস রেগুলেশনের (এপিআর) অনুযায়ী ডাবলিন বিধিমালা সংস্কারেও প্রতিশ্রুতিব্ধ হয়েছেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।

আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ড এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে বৈঠক থেকে। ডাবলিন বিধিমালা সংস্কারের মধ্য দিয়ে অনিয়মিত অভিবাসনকে আরো বেশি নিরুৎসাহিত করার দিকেও মনোযোগী হতে চায় সদস্য দেশগুলো। ডাবলিন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে একটি কার্যকর সীমানা ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

SHARE THIS ARTICLE