আইরিশ বাংলা পোস্ট ডেস্কঃ প্যালেসটাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পি এল ও) এর কোভিড-১৯ আক্রান্ত সেক্রেটারি জেনারেল সায়েব এরেকাতের শ্বাস যন্ত্রের অবস্থা পরীক্ষা করতে ব্রঙ্কোস্টোমি নামক বিশেষ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তার কন্যা সালাম এরেকাত জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সালাম এরেকাত টুইটারে জানান, তার বাবা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশনে রয়েছেন এবং এক্সট্রা করপোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (একমো) নামক বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে তার রক্তে অক্সিজেন সরবারাহ করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, ব্রংকোস্টোমী অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া এবং একমো আরেকটি বিশেষ যন্ত্র যা কৃত্রিম উপায়ে ফুসফুসের অক্সিজেন সরবরাহের কাজ করে থাকে। এ দুটি ব্যাবস্থা বিশ্বের স্বল্প সংখ্যক হাসপাতালে করা হয়ে থাকে মাত্র।
সালাম এরেকাত অবশ্য জানিয়েছেন, “ফলাফল পেতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে, তবে আশা করি তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাবে। বাবার জন্য প্রার্থনা করুন।” সালাম এরেকাত নিজে একজন চিকিৎসক।
৬৫ বছর বয়সী এরেকাত গত ৮ই অক্টোবর কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন এর পর অবস্থার অবনতি ঘটলে গত রবিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত ইস্রায়েলের হাদাসাহ মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এরেকাতের ফুসফুস প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করা হয়েছিলো বিধায় এখন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় তার ঝুঁকি অতিমাত্রায় বেশী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন। তবে তারা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের প্রথিতযশা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
পিএলও-র সবচেয়ে শক্তিশালী দল আল ফাতাহ’র সদস্য এরেকাত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের এক পরিচিত মুখ বিশেষ করে ইসরায়েলের সাথে মধ্যস্থতায় তার ভূমিকার কারনে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট অত্যন্ত পরিচিত। তিনি প্রয়াত ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের সিনিয়র উপদেষ্টা ছিলেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রবক্তা, এরেকাত ১৯৬৭ সালে মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধে দখলকৃত ভূখণ্ডে ইস্রায়েলের অবৈধ বন্দোবস্ত নীতির বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর হয়ে আছেন।
দখলীকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় এখন পর্য্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮,১২৯ এবং মৃতের সংখ্যা ৪২৭ জন।
সংবাদ সূত্রঃ বি বি সি, আল জাজিরা